আতঙ্কে বাজারে ভিড়, সুযোগের সন্ধানে অসাধু ব্যবসায়ীরা

কেন্দ্র-রাজ্য তরফ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং জরুরি পরিষেবা বন্ধ হবে না। লক ডাউন হোক বা নিষেধাজ্ঞা কোনও পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা? রবিবার ১৪ ঘণ্টা জনতা কার্ফুর পরে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে লক ডাউন। সে ক্ষেত্রে কী কী বিষয় এর আওতায় বাইরে থাকছে সেটা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলিও এ বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে। “এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ”- আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি কিন্তু তারপরেও কিছু মানুষ অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। আর তার জেরে অকারণ ভিড় বাড়ছে দোকানে, বাজারে। সোমবার সকালে দোকান খুলতেই বড় বড় থলে হাতে সবাই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, কাঁচা শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম মজুত করে রাখার রাস্তায় হাঁটছেন অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় চার দিনের রসদ সংগ্রহ করতে কলকাতা শহর জেলায় জেলায় বিভিন্ন বাজারে ভিড় শুরু হয়েছে।

এর জেরে দুটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক, যে কারণে ভিড় এড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, জনতা কার্ফু, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা -সেটা কার্যকর হচ্ছে না। কারণ, অতিরিক্ত ভিড়ে রীতিমত গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র কিনছেন সবাই। এর ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি।
দুই, এই সুযোগে কালোবাজারির পথে নেমেছেন বেশ কিছু বিক্রেতা। বাড়তি চাহিদার সুযোগে বাজারে কোনও কোনও পণ্যের দাম অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশি বলেও অভিযোগ উঠছে। প্যাকেটজাত পণ্যের দাম সে পরিমাণ বাড়াতে না পারলেও, কাঁচা শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম এক লাফে ৫০ টাকা ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফলে পকেট টান পড়ছে মধ্যবিত্তের। কিন্তু আতঙ্কে সেই জিনিস কিনছেন অনেকেই।

মহামারির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সুযোগ সন্ধানী লোকেদের অসাধু উদ্দেশ্য। অযথা আতঙ্কিত হয়ে আমরা নিজেরাই সেই রাস্তা করে দিচ্ছি না তো? আতঙ্কিত হবেন না, গুজব ছড়াবেন না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং জরুরি পরিষেবা কিন্তু লকডাউনেও চালু থাকছে।

Previous articleসর্বদল লাইভ নয় কেন? ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
Next articleআমেরিকার করোনা-সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে কী বলল ইরান?