ভোট চলাকালীন গায়ের জোরে CBI হানা! শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করার অভিযোগে কমিশনে চিঠি ত‌ণমূলের

শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোট চলাকালীন শান্ত সন্দেশখালিতে (Sandeskhali ) মোদির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) হানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) চিঠি দিল তৃণমূল (TMC)। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূলের স্পষ্ট অভিযোগ, লোকসভা ভোট চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সেকারণেই জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারির আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের সময় প্রতিনিয়ত তৃণমূলকে টার্গেট করছেন। বিশেষত, সিবিআইকে তাঁরা নিজেদের কাজে পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানাল তৃণমূল (TMC)।


তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের সময় কেন্দ্রীয় সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করা হলেও কমিশন সেদিকে নজর দেয়নি। তার মধ্যে শুক্রবার যখন বাংলার তিন লোকসভা আসন— দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে ভোট হচ্ছে, তখন নির্লজ্জ ভাবে সিবিআই সন্দেশখালির ফাঁকা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরে মশা মারতে কামান দাগার মতোই সিবিআই আধিকারিকরা অতিরিক্ত আধিকারিক, বম্ব স্কোয়াড এবং এনএসজি-কে ডেকে পাঠায়। তৃণমূলের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। কিন্তু, সিবিআই রাজ্য সরকার কিংবা পুলিশকে না-জানিয়েই হানা দিয়েছে। বরং রাজ্য পুলিশকে জানানো হলে তাদের যে বম্ব স্কোয়াড রয়েছে, তা ওই অভিযানে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু সে সব কিছু করা হয়নি। পুলিশের কোনও সহায়তা চাওয়া হয়নি। তৃণমূলের দাবি, সিবিআই অভিযানের খবর আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে ছিল। এ ব্যাপারে তাদের জানানো হয়েছে, কিন্তু রাজ্যকে অভিযানের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সন্দেশখালি অভিযান শুরু করে সিবিআই। গত ৫ জানুয়ারি রেশন বন্টন মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডির আক্রান্ত হওয়ার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই অভিযান চলে বলে সাফাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের জারি করা প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইডির জিনিসপত্র এবং আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিস লুকিয়ে রাখা হতে পারে শাহজাহানের অনুগামীদের বাড়িতে, এই খবর পেয়ে তারা তল্লাশি অভিযান শুরু করে। যে দিন ইডির উপর হামলার ঘটনা ঘটে, সে দিনই ইডির বেশ কিছু জিনিস সেখানকার জনতা আটক করে বলে অভিযোগ। সেই সব জিনিস খুঁজতেই ছিল শুক্রবারের অভিযান।

Previous articleমোদি বিরোধিতায় কৃষক বিক্ষোভ! দেশজুড়ে “ইন্ডিয়া” প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন
Next articleনৈনি লেকে বন্ধ বোটিং, দাবানল এগোলো হাইকোর্ট পর্যন্ত