আজ রাত থেকে 21 দিন লকডাউন: প্রধানমন্ত্রী মোদি

মোদি বললেন: জনতা কার্ফু সফল। সর্বস্তরের দেশবাসী সামিল ছিলেন।
ভারত দেখিয়েছে সঙ্কট এলে সবাই ঐক্যবদ্ধ।
সকলের প্রশংসা প্রাপ্য।

করোনা নিয়ে বিশ্বের অবস্থা দেখছেন।
শক্তিশালী দেশও অসহায়।
করোনা এত দ্রুত ছড়াচ্ছে যে চ্যালেঞ্জ কঠিন হচ্ছে।

ঐসব দেশ দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন একমাত্র পথ “সোশ্যাল ডিসটেন্সিং।” সংক্রমণ চক্র ভাঙতে হবে।

কেউ ভুল ভাবছেন যে এসব শুধু রোগীর দরকার। তা নয়। সবার জন্য দরকার।
কিছু লোকের বেপরোয়াভাব, ভুল ভাবনা আপনার পরিবারকে ও দেশকে বড় সমস্যায় ফেলবে।
এরকম বেপরোয়া ভাব থাকলে বড় মূল্য চোকাতে হবে।
বহু জায়গায় লক ডাউন। সিরিয়াসলি নিতে হবে।

বড় সিদ্ধান্ত:

আজ রাত 12 থেকে গোটা দেশে লক ডাউন হবে।
এটাও কার্ফু।
জনতা কার্ফুর থেকেও বেশি।

এই পদক্ষেপ জরুরি।
এতে আর্থিক ক্ষতি।
কিন্তু জীবন রক্ষা জরুরি।

আমি করজোড়ে বলছি, যেখানে আছেন থাকুন।
21 দিন লক ডাউন হবে।
তিন সপ্তাহ।
এই তিন সপ্তাহ ভয়ানক গুরুত্বপূর্ণ।

বাইরে যাওয়া ভুলে যান। না হলে সমূহ ক্ষতি। বহু পরিবার বিধ্বস্ত হবে।

করোনাআক্রান্ত প্রথমে সুস্থই মনে হয়, পরে দেখা যায় সর্বনাশ হয়ে গেছে।

রাস্তায় কেউ বেরোবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা শরীরে আছে বুঝতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
একজন আক্রান্ত হু হু করে ছড়িয়ে দেয় রোগ।

প্রথম এক লাখে পৌঁছতে 67 দিন। তারপর দুই লাখে যেতে এগারো দিন। তিন লাগে যেতে চার দিন। আন্দাজ করুন কত দ্রুত। আটকানো কঠিন।

বড় দেশগুলো, স্বাস্থ্যে উন্নত দেশগুলো সঙ্কটে পড়েছে।
এখন উপায় কী?

ঐসব দেশগুলি থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বলা যায় মানুষ বেরোচ্ছে না। সরকারি কথা মানছে। ফলে মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার আশা করছে।

ফলে যা হবার হবে, ঘর থেকে বেরোন যাবে না।
ঘরের লক্ষ্মণরেখা মানুন।
সংক্রমণ রুখতে হবে।

আজকের পদক্ষেপে আমাদের দেখতে হবে সমস্যা কতটা কম করা যায়।

আগে জীবন তারপর অন্য কিছু।

লক ডাউন মানতে হবে।

করজোড়ে বলছি, যারা এই অবস্থাতে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য প্রার্থনা করুন। ডাক্তার, নার্স থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক, সাফাইওলা – সকলকে শুভেচ্ছা জানান। মিডিয়া, পুলিশসহ আরও যারা কাজ করছে, তাদের কথা ভাবুন।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারিগুলি যথাসম্ভব কাজ করছে।
জরুরি সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

গরিবদের সঙ্কট বেশি। তাঁদের মদতেও কাজ করা হচ্ছে।

এখন জীবন বাঁচানোকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

কেন্দ্র 15,000 কোটি টাকার তহবিল করেছে করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর জন্য।

রাজ্যগুলোকে বলব, অগ্রাধিকার দিন শুধু স্বাস্থ্যে।

বেসরকারি স্বাস্থ্য কাঠামোও সহযোগিতা দিচ্ছে।

এসব সময়ে অন্ধ বিশ্বাস বা কুসংস্কারে কিছু করবেন না।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।

21 দিন লম্বা সময়। কিন্তু আপনার জীবন, আপনার পরিবারের জীবনের জন্য এটা দরকার।

আমাদের জিততে হবে।

Previous articleবাতিল উড়ান, ফিলিপিন্সে আটকে ভারতীয়রা
Next articleসঙ্কট মেটাতে বিধি মেনে ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তদান