রোগের চিকিৎসায় স্বয়ং ভগবানকেও থাকতে হয় হোম কোয়ারেন্টাইনে

হতে পারে পুরাণ, হতে পারে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক গল্প, হতে পারে বর্তমান সংকটের সঙ্গে দূর-দূরান্তে ও তার কোনো যোগ নেই, স্বয়ং ভগবান কেও রোগের চিকিৎসার জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হয় প্রতিবছর। প্রতি জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ দেব। ১৪ দিন বন্ধ থাকে পুরীর মন্দিরের দরজা। ছাপ্পান্ন ভোগ এর বদলে ভগবান কে দেওয়া হয় কবিরাজি পথ্য ও শীতল প্রলেপ। এর পিছনে একটি পৌরাণিক কাহিনী আছে। একবার ভগবানের পরম এক ভক্ত মাধব দাস অসুস্থতার মুখে পড়েন। প্রতিবেশী বা পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তি তাঁকে সাহায্যের কথা বললে, তিনি আস্থা রাখেন জগন্নাথ দেবের উপর। দিন দিন তাঁর অবস্থা শোচনীয় হতে থাকে। ভক্তের এই কষ্ট দেখতে পারেনি জগন্নাথ দেব। তিনি স্বয়ং এসে ভক্তের সেবা করতে থাকেন। শোনা যায় এ সময় মাধব দাসের মল পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার করেন। চৈতন্য ফিরলে একদিন মাধব দেখেন তাঁর শিওরে বসে তাকে সেবা করছেন স্বয়ং জগন্নাথ। ভক্তের অসুস্থতার শেষ ১৪ দিন জগন্নাথ নিজে ভোগ করেন। সেই থেকে রথ যাত্রার আগের ১৪ দিন অসুস্থ থাকেন জগতের প্রভু । ১৪ দিনের জন্য তাকে রাখা হয় হোম কোয়ারেন্টাইনে।

Previous articleকরোনার যুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর শরিক হতে চেয়ে খোলা চিঠি ব্রততীর
Next articleলকডাউনের গভীর রাতে গর্ভবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে মানবিকতার নজির পুলিশের