Thursday, August 28, 2025

এই খবর কি ঠিক?
যদি ভুল হয়, সংশোধন হোক।
যদি ঠিক হয়, পুনর্বিবেচনা হোক।

করোনাযুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডামাস দিয়েছে 10 লাখ টাকা। আর সিস্টার নিবেদিতা এক লাখ?
এতো অবিশ্বাস্য।

দুটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই অনুমোদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায়। অ্যাডামাস শুধু 10 লাখ টাকাই দেয় নি; তার বিশাল ক্যাম্পাস করোনাযুদ্ধের হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে। এতটাই বড় এবং প্রস্তুত যে 30 জন চিকিৎসক সপরিবারে থাকতে পারেন। 600 নার্স থাকতে পারেন। 1000 বেড রাখা যেতে পারে। অ্যাডামাসের প্রধান শমিত রায় সরকারকে তাঁর প্রস্তাব জানিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এতটাই বড় যে সব সুরক্ষিত রেখে একপাশে এটা করা যেতে পারে।

সেখানে সত্যম রায়চৌধুরির সিস্টার নিবেদিতা এক লাখ টাকা? “বর্তমান” পত্রিকা তাই বলছে। যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির আগে সরকার অনুমোদন দিয়েছে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণের আগে স্রেফ কম্পিউটারে আঁকা ছবি দেখিয়ে ভর্তি হয়েছে আর ক্লাস হয়েছে বিকল্প উপায়ের প্রাঙ্গণে, তারা মাত্র এক লাখ?
এ নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। একটি সূত্র বলছে, সত্যমবাবুদের টেকনো থেকে আলাদা দেওয়া হবে। কিন্তু সেতো আলাদা। তাছাড়া সেখানে সত্যমবাবুর দাদা গৌতমবাবুও আছেন। কোনো অঙ্কে সিস্টার নিবেদিতার এক লক্ষ টাকা দান মেনে নেওয়া যায় না। এদের ঘনিষ্ঠশিবির বলছে, যথাসাধ্য করা হয়েছে এবং হবে।
বিষয়টিতে শিক্ষা ও প্রশাসনিক মহলেও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।
যদি সংবাদপত্রের অঙ্ক ভুল হয়, তা ঠিক করা হোক। আর যদি ঠিক হয়, তাহলে অনেক রকম ভাবার অবকাশ থাকে।
এই কঠিন সময়ে শিক্ষামন্ত্রীও চেষ্টা করছেন শিক্ষাজগতে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বড়সড় সহযোগিতা করতে। কিন্তু এই যদি বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতার নমুনা হয়, তাহলে বিস্ময় সৃষ্টি হবেই। একটি মহলের বক্তব্য, অনেকে শুধু মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনের সুনজরে থাকতে নানা কীর্তি করে বেড়ান। যুগে যুগে শাসকের সঙ্গে থাকতে এঁরা রং বদলান। এই মহল অবশ্য কারুর নাম করেন নি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কে কী করছেন, তার দিকে নজর রাখছে প্রশাসনের উপরমহল।

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version