সূর্যকান্ত কোন পোস্ট শেয়ার করলেন?

গুজব ছড়াবেন না। সোশ্যাল সাইটের নান গুজব ও তার প্রত্যেকটির উত্তর। পোস্টটি শেয়ার করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রত্যেক রাজ্যবাসীর অবশ্যই তা পড়া উচিত। কারণ, এখন সকলেরই চোখ মোবাইলের দিকে।

কে বা কারা এটি লিখেছেন জানিনা। কিন্তু তাঁর বা তাঁদের কাছে আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সময়কালে মিথ্যা তথা উত্তর-সত্য যে সবরকমের প্রচার মাধ্যমে অর্থবলে আধিপত্য বিস্তার করেছে তা হিটলার জমানায় গোয়েবলসীয় মিথ্যা প্রচারকেও হার মানায়। এগুলো সমস্ত রকম ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার যা মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই সত্য আপনা আপনি জয়ী হবে এই দুরাশায় নির্ভর না করে মিথ্যাচারের জবাব দিতে যুক্তিবাদের অনুশীলনের কঠিন লড়াইটা হাজার হাজার বছরের মতো এখনো চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের সহকর্মী মিলনবাবুকে ধন্যবাদ আমাকে এটি পাঠানোর জন্য। সবাইকে অনুরোধ,এটি ছড়িয়ে দিন।

10টি মিথ্যা সংবাদ থেকে সাবধান থাকুন –

1:- অনেক লাশের সাথে ইতালি শহরের ছবি।
সত্য – একটি চলচ্চিত্র থেকে নেওয়া একটি দৃশ্য।
2:- 498 / – জিও বিনামূল্যে রিচার্জ করুন।
সত্য – সংস্থাটি এ জাতীয় কোনও দাবি করেনি।
3:- লোকেরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে এরকম একটি ছবি।
সত্য – ২০১৪ সালের একটি শিল্প প্রকল্পের চিত্র ।
4:- ডাঃ রমেশ গুপ্তের বই প্রাণী বিজ্ঞানে করোনার চিকিতৎসা হয়।
সত্য হ’ল হয় না।
5:- ডাঃ নরেশ চৌহান জাতীয় জরুরি অবস্থার আবেদন করেছেন।
সত্য – ডঃ চৌহান কোনও আবেদন করেননি।
6:- ১৩৪ জন ভুক্তভোগীর চিকিৎসার পরে সংক্রমণে পড়ে যাওয়া এমন এক দম্পতির ছবি।
সত্য – ছবিটি কোনও চিকিৎসক দম্পতির নয়। বিমানবন্দরে এক দম্পতির ছবি।
7:- কোভিড 19 করোনার ওষুধের ছবি।
সত্য – এটি কোনও ওষুধ নয়, এটি একটি পরীক্ষার কিট।
8:- 12 ঘন্টা পর্যন্ত করোনার ভাইরাসের জীবন থাকে।
সত্য – 3 ঘন্টা থেকে 9 দিন।
9: – রাশিয়ায় – 500 সিংহ রাস্তা।
সত্য – একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্য।
10:- ইতালির কফিনের ছবি।
সত্য – এটি একটি 7 বছরের পুরনো ঘটনার চিত্র, এটির করোনার সাথে কিছুই সম্পর্ক নেই।

বন্ধুরা, মিথ্যা গুজবের কারণে আপনার ধৈর্য হারাবেন না।
পোস্টটি শেয়ার করুন
… অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।

শুরু হয়ে গেছে কমিউনিস্ট বিরোধী মিথ্যা প্রচার। প্রসঙ্গ করোনা ভাইরাস।
———————————————————-
মিথ্যা প্রচার ১:- বলা হচ্ছে ৮৫ টি দেশ নাকি আন্তর্জাতিক মামলা করবে চীনের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস পরিকল্পনা করে ছড়ানোর অভিযোগে।

>> কিন্ত কোন খবরের নিউস লিংক নেই। কোন মিডিয়া তেই খবর নেই। শুধুমাত্র whatsapp এই পাওয়া যাচ্ছে এই খবর। হাজার হাজার share করে ফেলেছেন লোকজন সত্যতা না যাচাই করেই।

মিথ্যা প্রচার ২:- চীন নাকি তার পরীক্ষাগারে মানুষ মারার জন্য বায়োলজিক্যাল অস্ত্র বানাতে গিয়ে এই করোনা ভাইরাস বানিয়েছে।

>> কিন্ত সত্য হচ্ছে আমেরিকান সংস্থা দা স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিয়েছে কোন পরীক্ষাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়নি। এই রিপোর্ট নেচার মেডিসিন সাময়িকী তে বেরিয়েছে। একটু google সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

মিথ্যা প্রচার ৩:- Dean Koontz এর লেখা “The Eyes Of Darkness” বইটি তে সেই ১৯৮১ সালেই লেখক বলে দিয়েছিলেন চীন করোনা ভাইরাস( বইটি তে নাম উহান-৪০০) ছড়াতে পারে বায়োলজিক্যাল অস্ত্র হিসেবে।

>> কিন্তু সত্যি কি তাই?
“The Eyes of Darkness” বইটি ১৯৮১ সালে লেখা। বইটিতে ১৯৮১ সালে ভাইরাসের নাম ছিল গোর্কি-৪০০ । কারণ তখন রাশিয়ার সাথে আমেরিকার ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল।
হটাৎ করে লেখক ১৯৮৯ সালে নিজেই সেই একই বই তে ভাইরাসের নাম টা চেঞ্জ করে উহান-৪০০ রাখেন। কেন? কারণ তখন রাশিয়ার সাথে আমেরিকার ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ। এদিকে চীন নতুন পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বে উঠে আসছে।
বুঝুন লেখক কোন মাত্রার ফেরেপবাজ!!!
আর বইটি কল্পবিজ্ঞান যার সাথে বর্তমান সায়েন্সের কোন মিল নেই।

মিথ্যা প্রচার ৪:- বলা হচ্ছে চীন তার দেশের বয়স্কদের ইচ্ছে করে মেরে ফেলতে চাইছে। কারণ চিনে বয়স্ক মানুষদের দায় দায়িত্ব চীনের কমিউনিস্ট সরকারকে বহন করতে হয়। তাই বাড়তি বোঝা সরাতে চীন করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। যাতে চীন অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।
>> কিন্ত সত্যি কি তাই? আসুন একটু অংক করি।
চীনের জনসংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি। বয়স্ক লোক ধরুন ৪০ কোটি। এখন চিনে করোনা ভাইরাসের ফলে বয়স্ক থেকে বুড়ো সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার মাত্র। এখন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা খুব কম।
এখন মাত্র এই কয়েক হাজার মানুষ মেরে কি উন্নতি করবে চীন? যেখানে জনসংখ্যা চীনের কোটি কোটি। আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তো বেশি খরচ হয়েছে চীনের। তাই মেরে ফেলার গল্পটাও ঢপ একটা।
ধরে নিচ্ছি চীন মিথ্যা বলছে। ধরে নিচ্ছি আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ। কিন্ত তাহলেও তো হিসেব মেলে না। দুই লাখ বুড়ো কে মারতে গিয়ে কয়েক কোটি সব বয়সের মানুষের চিকিৎসার ভার কেন চীনের সরকার বহন করবে? এতে তো চীনের অর্থনীতি আরো গোল্লায় যাবে।

সত্য জানুন। অযথা গুজব রটাবেন না।

Previous articleইএমআই তিন মাস স্থগিত, ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দিতে বলল রিজার্ভ ব্যাংক
Next articleলকডাউন চলাকালীন ৩৪২ বস্তা চাল  বাজেয়াপ্ত করল ইবি, ধৃত দুই ব্যবসায়ী