রাজ্যগুলিকে সীমানা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

এবার রাজ্যগুলিকে সীমানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামে ফেরার বাস ধরতে শনিবার দিল্লি উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ভিড় জমিয়েছিল লক্ষ লক্ষ দিনমজুর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সফরও করেছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, সমস্ত রাজ্যের সীমানা সিল করে দেওয়া হবে। লকডাউন চলাকালীন কেউ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না।

কেন্দ্রের নির্দেশ, লকডাউন অমান্য করে নিজ রাজ্যে পা দেওয়া মাত্র তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। এই কাজ এবং কোয়ারেন্টাইনের সময়ে দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকেই সব চেয়ে বেশি শ্রমিক কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে যান। এ ক্ষেত্রে তাদের উপর বাড়তি দায়িত্ব এল।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পূণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব জানান, “রাজ্যের সীমানা সিল করা এবং ভিন রাজ্যের শ্রমিক পৌঁছনো মাত্র তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের দেখভালের জন্য স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড থেকে এই খরচের অর্থ নেওয়া যেতে পারে।” এই লকডাউন পর্বে কোনও মালিক কর্মীদের বেতন কাটতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়েই বেতন দিতে মালিকপক্ষ বাধ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব। তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকরা যেখানে রয়েছেন তাঁদের এক মাসের ভাড়া বাড়িওয়ালাকে মকুব করে দিতে হবে।”

Previous articleকরোনা সতর্কতা: কোচবিহারের সমস্ত হাট-বাজার বন্ধের দাবি স্থানীয়দের
Next articleবড়বাজারের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত