14 এপ্রিল পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন। আর সেদিনই বাঙালির নববর্ষ। এই কারণে 13 এপ্রিল পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পয়লা বৈশাখে কিছুটা শিথিল হতে পারে নিয়ম। সোমবার নবান্নের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি, তিনি জানান, রাজ্যে বন্ধ মিষ্টির দোকানগুলি। এতে সাধারণ মানুষ যেমন সমস্যায় পড়েছেন, তেমনই বিপুল ক্ষতির মুখে রাজ্যের দুধ ব্যবসায়ীরা। সেই কারণে এবার থেকে প্রতিদিন দুপুরে বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি জানান, একসঙ্গে ভিড় করে কেনাকাটা নয়, দূরে দূরে দাড়িয়ে কিনতে হবে মিষ্টি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বস্তিতে রাজ্যের দুধ ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে খুশি মিষ্টির দোকানের মালিকরাও।

একই সঙ্গে শিশুদের দুধের জোগানে যেন কোন সমস্যা না থাকে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে দুধ বিক্রেতাদের মাথায় হাত। অনেক জায়গাতেই দুধ নষ্ট করতে দেখা যায় তাঁদের। দুধের একটা বড় অংশ দিয়েই তৈরি হয় ছানা, যেটা যায় মিষ্টির দোকানে। লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ। তাই ছানার চাহিদা নেই। এই সমস্যার সমাধানে আংশিক সময়ের জন্যে মিষ্টি বিক্রি শুরু করতে চায় রাজ্য।
