লকডাউন: দিল্লি সরকারের বলে বলে গলা শুকিয়ে গেল, কিন্তু কে শোনে কার কথা!

শ্রেয়সী চৌধুরী, দিল্লির বাসিন্দা

দিল্লি সরকারের বলে বলে গলা শুকিয়ে গেল, “স্টে হোম, স্টে সেফ”। কিন্তু কে কার কথা শোনে? দিল্লির ময়ূর বিহার এক্সটেনশনে আমি থাকি। ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। থাকি একা। তাই বুঝতে পারি একাকীত্বে কত সমস্যা। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে আর পারিপার্শ্বিককে বাঁচাতে গেলে আইসোলেশন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। লকডাউন পরিস্থিতির আগে সকালে ঘুম ভাঙত সামনের গলির হইচই শুনে। লকডাউনেও সেটার কিন্তু কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। তখন সাধারণত দুজন সবজিওয়ালাকে দেখতাম। সেটা এখন দাঁড়িয়েছে সাতটায়। প্রশাসনের গাফিলতি বলব না। তারা দিনে দুবার আসছে, সাইরেন বাজিয়ে লোকজনকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলেছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে? অবাক হলাম, যখন দেখলাম জামা কাপড়ের দোকান খোলা! আর লোকে কেনাকাটাও করছে। ওঁরাই জানে কোথায় পরে যাবে! সরকারের উদ্যোগে দিল্লির সীমানা বন্ধ রাখা হয়েছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই লকডাউনটা শুধু সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্কুল-কলেজের উপর প্রযোজ্য।

মানলাম জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে, এটাই সরকারি নিয়ম। কিন্তু এটাও তো আমাদের সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে যে, শুধু নিয়ম জারি করলেই আর সেই নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করে আমরা করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পাবো না। নিয়মগুলো মানতে হবে।। প্রত্যেকদিন খবরে দেখছি আক্রান্তের, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও যদি আমরা সচেতন, সতর্ক না হই তাহলে আমাদের ভারতও ইতালি হতে বেশি সময় নেবে না বলে আমার আশঙ্কা। সুতরাং এখন থেকেই সতর্ক হোন, বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Previous article*আইসোলেশনে থাকা রোগীর মৃত্যু হলেই করোনা নয়, হবে মৃত্যু-অডিট*
Next articleলকডাউনে বাড়বে অনাহার, আশঙ্কা অমর্ত্য সেনের