লকডাউনে কুকুরের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে ওরা! পুরোটা জানলে আপনার চোখে জল আসবে

ওরা করোনা কী জানে না। জানে না লকডাউন কী। কিন্তু ওদের পেট আছে। পেটের জ্বালা আছে। আছে খিদে।সারাদিন এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়িয়ে আর পাঁচটা দিনের মতোই যা জোটে তাই দিয়েই পেটের জ্বালা মেটায় ওরা। কিন্তু করোনার জেরে ওদের পেটের জ্বালা মেটাতে আজও কেড়ে খেতে হচ্ছে কুকুরের মুখের খাবার। কিংবা ময়লা ফেলার ডাষ্টবিন থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে খাবার।

লকডাউনে হাওড়ার জনবহুল এলাকা, বাসস্টান্ড কিংবা স্টেশন চত্বরে সারা বছর ওরা ঘোরাফেরা করে। জুটে যায় কিছু না কিছু। কিন্তু এখন চারিদিক ফাঁকা। অথচ ওরা খাবারের আশায় এখনও ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু খাবারের দেখা নেই। কারন, সব ফাঁকা। কেউ এগিয়ে এসে খাওয়ায় না। বন্ধ দোকানপাট , খাবারের হোটেল। তাই জোটে না উচ্ছিষ্ট।

এমনটা নয়, সরকার ওদের কথা ভাবছে না। এই দুঃসময়ে ওদের জন্যও আশ্রয় ও খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু কে ওদের সেই ঠিকানায় পৌঁছে দেবে? অগত্যা পেটের জ্বালা মেটাতে তাই কখনও নোংরা ফেলার ডাস্টবিন কিংবা নর্দমার ধারে চোখ ঘোরাফেরা করছে। আবার রাস্তার কুকুরদের খাবারেও ভাগ বসাচ্ছে ওরা। ওরা ভবঘুরে। এটাই ওদের জীবন। করোনা সঙ্কটেও বদলায়নি যারা। কিন্তু ওরাও মানুষ।

কলকাতা শহরের এই ছবি মনে করিয়ে দেয় ভূপেন হাজারিকার কণ্ঠে সেই কালজয়ী গান। “মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারে না? তাই আসুন না, এই দুর্যোগে থালা-ঘন্টা কিংবা প্রদীপ জ্বালিয়ে বাজি ফাটানোর পাশাপাশি আমাদের থেকে এক মুঠো অন্ন কিংবা একটুকরো রুটি ওদের মুখে তুলে দিই। তাহলেই কিন্তু সার্থক হবে একতার বাণী। গড়ে উঠবে বৈচিত্র্য-এর মধ্যে ঐক্য।

Previous articleBREAKING: লকডাউনের মধ্যেই ভারতে মৃত্যুতে সেঞ্চুরি হাঁকালো নরখাদক করোনা
Next articleচমক ! বাংলা নববর্ষে ereaders-এর উপহার নতুন ছ’টি ই-বই