Sunday, August 24, 2025

একটা দুটো নয়, প্রায় ১৫০ শোর বেশি ময়ূরের দিন কাটছে অনাহারে। এমনই অবস্থা হুগলির পোলবা থানার গান্ধী গ্রামে। ময়ূর-গ্রাম নামে পরিচিত এলাকাটি। সেখানে গেলে যত্রতত্র ময়ূরদের পেখম মেলে খেলতে দেখা যায়। তাদের দেখতেই বছরভর বহু মানুষ গ্রামে যেতেন। কিন্তু সে সুসময় আজ অতীত। বড্ড কঠিন সময় দিন কাটছে জাতীয় পাখিদের।

গ্রামের মুষ্টিমেয় কিছু বাসিন্দা বছরভর ময়ূরগুলির লালনপালন করেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে চাষের কাজ প্রায় বন্ধ। এখন গ্রামবাসীদের নিজেদের খাবারের যোগানই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে ময়ূরের খাবার দিতে পারছেন না তাঁরা। গ্রামেরই কল্যা পরিবার জানায়, মূলত চাল ও গম খায় ময়ূরগুলি। সেই চাল ও গমের ভান্ডার এখন প্রায় শূন্য। সারাটা দিনে যে খাবার ওদের দরকার তার এক ভাগও দেওয়া যাচ্ছে না। কার্ড পিছু রেশন দোকানে যে পরিমাণ চাল ও গম পাওয়া গিয়েছে সেটা দিয়েও ওদের খাবারের জোগান দেওয়া যাচ্ছে না।
চারিদিকে ঘুরে ঘুরে যেটুকু খাবার পায়, খায়। কিন্তু খাবার সময় হলেই চলে যায় বাড়ির সামনে, ডাকতে থাকে। তখনই অসহায় বোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অল্প কিছু খাবার দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক, সবার কাছে ময়ূরের খাবারের জন্য গিয়েছেন গ্রামবাসীরা কিন্তু তাদের অভিযোগ কেউই তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। এখন অনাহারে ময়ূর গুলি মারা না যায় সেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে গান্ধী গ্রাম।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version