Thursday, August 28, 2025

একটা দুটো নয়, প্রায় ১৫০ শোর বেশি ময়ূরের দিন কাটছে অনাহারে। এমনই অবস্থা হুগলির পোলবা থানার গান্ধী গ্রামে। ময়ূর-গ্রাম নামে পরিচিত এলাকাটি। সেখানে গেলে যত্রতত্র ময়ূরদের পেখম মেলে খেলতে দেখা যায়। তাদের দেখতেই বছরভর বহু মানুষ গ্রামে যেতেন। কিন্তু সে সুসময় আজ অতীত। বড্ড কঠিন সময় দিন কাটছে জাতীয় পাখিদের।

গ্রামের মুষ্টিমেয় কিছু বাসিন্দা বছরভর ময়ূরগুলির লালনপালন করেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে চাষের কাজ প্রায় বন্ধ। এখন গ্রামবাসীদের নিজেদের খাবারের যোগানই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে ময়ূরের খাবার দিতে পারছেন না তাঁরা। গ্রামেরই কল্যা পরিবার জানায়, মূলত চাল ও গম খায় ময়ূরগুলি। সেই চাল ও গমের ভান্ডার এখন প্রায় শূন্য। সারাটা দিনে যে খাবার ওদের দরকার তার এক ভাগও দেওয়া যাচ্ছে না। কার্ড পিছু রেশন দোকানে যে পরিমাণ চাল ও গম পাওয়া গিয়েছে সেটা দিয়েও ওদের খাবারের জোগান দেওয়া যাচ্ছে না।
চারিদিকে ঘুরে ঘুরে যেটুকু খাবার পায়, খায়। কিন্তু খাবার সময় হলেই চলে যায় বাড়ির সামনে, ডাকতে থাকে। তখনই অসহায় বোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অল্প কিছু খাবার দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক, সবার কাছে ময়ূরের খাবারের জন্য গিয়েছেন গ্রামবাসীরা কিন্তু তাদের অভিযোগ কেউই তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। এখন অনাহারে ময়ূর গুলি মারা না যায় সেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে গান্ধী গ্রাম।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version