মোদিকে চিঠি বাংলার এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের

Appeal to the HON’ABLE prime minister to india firm action against the Covid19 :
To
Hona’able prime Minister
Of India
Sri Narendra Modi ji
Respected Sir,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী -র কাছে আমার আবেদন :covid-19 মোকাবিলায়

আমার মনে  হয় যে‌:  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) দৃঢ় পদক্ষেপ নিক যারা এই মুহূর্তে COVID -১৯ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন তাদের একটা database তৈরী করা with blood group information, এবং এই সব সেরে ওঠা মানুষদের এই মুহূর্তে রক্তদানে উৎসাহিত করা। কারণ যারা এই রোগে মারাত্মক অসুস্থ হবেন তাদের blood group মিলিয়ে সেরে ওঠা ,মানুষের রক্ত transfusion করতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে, কারণ প্রচুর পরিমানে neutralizing এন্টিবডি র উপস্থতি ।  এটা পরীক্ষিত সত্য। ICMR ব্যাপারটা জানে বলেই মনে করি।
আমি বলছিলাম যে: অবিলম্বে CSIR (Council of Scientific and Industrial Research) , DST (Department of Science and Technology) , DBT (Department of Biotechnology) র বিজ্ঞানীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্দেশ দেয়া হোক PPE এবং N95 মাস্ক এর পুনর্ব্যবহারের প্রণালী প্রোটোকল standarized করতে। এই কারিগরি বিদ্যা এই মুহূর্তে অনেকদেশের বিজ্ঞানীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সামনে এনেছে , ভারতবর্ষই বা পারবে না কেন ?
আমি বলছিলাম যে PPE র একটা National Repository করা হোক ভবিষৎতে বিপদের সময় যেন এই অবস্থা না হয়।
অবিলম্বে National Institute of Immunology কে এবং CSIR , DBT র জাতীয় গবেষণাগার গুলোকে নির্দেশ দেয়া হোক Antibody based rapid detection system তৈরী করতে. এই সমস্ত কাজগুলো করার মতো বিজ্ঞান এবং কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন বিজ্ঞানীরা ভারতবর্ষে অনেক আছে , তাদের কে জাতির এই সঙ্কটের মুহূর্তে ব্যবহার করা । ভারতে -র সমস্ত তরুণ প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের এই মুহূর্তে নিয়োগ করা হোক এই কাজে।ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের COVID-১৯ রুগীদের লালারস থেকে ভাইরাস Isolate করে তাকে sequence করা হোক।, এই কাজ টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।। কারণ এই কাজ থেকে পাওয়া যাবে ভাইরাসের mutation ম্যাপ এবং তার মারণ ক্ষমতার সরাসরি তুলনা ।। যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হবে ভারতবর্ষের জন্য উপযুক্ত ভ্যাকসিন তৈরির কাজে। for mutating RNA Virus Country Specific Vaccine is always most effective.
এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে বড় শত্রু আণুবীক্ষণিক, কোনো মিসাইল কেনার দরকার নেই । প্রতিরক্ষা খাতে কাড়ি কাড়ি টাকা অস্ত্র ব্যবসাদারদের হাতে তুলে না দিয়ে, দেশে চিকিৎসা এবং বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণায় খরচ করা হোক । তাতে অনেক বেশি মানুষ বাঁচবেন
আপনি আপনার বক্তৃতায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ-কে কেন্দ্র করে কোনরকম গুজব ছড়াতে নিষেধ করেছেন । সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার, দাবি করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গোমূত্র সেবন মার্কা চরম অবৈজ্ঞানিক গুজব ছড়িয়ে একাংশের মানুষকে যারা বিভ্রান্ত করছেন, সেই সমস্ত সংস্থা – সংগঠন , ব্যক্তি, বিশেষ করে রাজনৈতিক  নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে । সোশ্যাল মিডিয়াতেও যে সমস্ত গ্রুপ এই  সম্পর্কে মানুষকে বিপথে পরিচালিত করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।।
কিন্তু আমি যেন নিশ্চিত থাকতে পারি যে ভারতবর্ষের কোনো নাগরিককে র মতপ্রকাশের স্বাধীনতা-য় যেন হস্থক্ষেপ করা না হয়।
একথা-ও বলতে হবে, Social-মিডিয়া কোরোনা বিরোধীতায় যঠেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।।
বর্তমান অবস্থায়  সাধারণ মানুষের জন্য  নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিতে হবে ।
পর্যটন শিল্প , নির্মাণ শিল্প সহ অনেক শিল্পই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে , ফলে দেশে অনেক হোটেল , রেস্তোরা , ইটভাটা , অনান্য নির্মাণ কারখানা ইত্যাদি বন্ধ থাকছে । সাইকেল-রিক্সাওভ্যান,অটো রিক্সা সহ কোনো পরিবহণ কর্মীদের কাজ নেই কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ,যাতে এই সমস্ত সংস্থার কর্মীরা এই সময়ে সবেতন ছুটি পান এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা ‌যাতে জীবন ধারনের উপযুক্ত নূন্যতম ভাতা পান। কালোবাজারি এবং মজুতদারি বন্ধে সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ।
সাধারণ মানুষের এই বিপদ থেকে সুরক্ষার জন্য স্যানিটাইজার সহ অনান্য সামগ্রী সরবরাহের সম্পূর্ণ দায়িত্ব  সরকারকেই নিতে হবে । আমি জানি যে ভারতের অর্থনীতি এক ঘোর অন্ধকারে-র মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।। এমন অবস্থায় আপনি এবং আপনার সরকার যে এই ১লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।।  সারা দেশ জুড়ে বতর্মানে প্রচুর পরিমাণে Coruption শুরু হয়ে গেছে। এমত অবস্থায় যদি ১লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার যদি পৌরসভা,B.D.O
রেশন ডিলার এর মারফত যদি আসে(যেটা বর্তমানে আসছে), তাহলে চলবে ব্যাপক দুর্নীতি এবং সারা ভারতের ৫০ শতাংশ মানুষ অনাহারে ও থাকতে পারে।  তাই  এটা সরাসরি CRPF, BSF, মিলিটারী‌ এবং‌ রাজ্য পুলিশ এর দ্বারা যেন বিতরণ করা হয়।এটাই জণগণ চায়। দেশের অর্থনীতি-র থেকে-ও বড়ো দেশের জনগন , তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় ।
বতর্মানে আমাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
বতর্মানে  I.S.R.O যে মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে(স্যানিটাইজার তৈরি) তার জন্য ধন্যবাদ।।

আপনার কাছে আমার ব্যাক্তিগত আবেদন:যে BPL সহ সমস্ত দরিদ্র মানুষ-কে প্রতি মাসে১৫০টাকা লকডাউন চলাকালীন দেওয়া হোক।
লকডাউন চলাকালীন ‌উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করেছে আমাদের মতন সাধারণ স্কুলে-র দুস্থ ছাএ, ছাত্রী-দের‌ জন্য কী ব্যবস্থা চালু করা যায় তা ভাবতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

প্রত্যেক-ভারতীয়-কে মাথাপিছু ১৫দিন অন্তর ১০ কিলো চাল ও ২ কিলো ডাল দেওয়া হোক।।
সমস্ত ধরনের ধর্মীয় সমাবেশ যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সে দিকে নজর রাখা।

ভারতের ধনীতম ব্যাক্তি মুকেশ আম্বানি -র কোম্পানি RELIANCE INDRUSTRY LIMITED এর গত অর্থবছরের  ১.৪২লক্ষ কোটি ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়েছে।  তাহলে দেশের এই দুর্দিনে উনি কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি‌ টাকা ভারত সরকার-কে দান করতে চিকিৎসা ব্যাবসস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য।

সারা ভারত জুরে   মন্দির, মসজিদ,গুরুদ্বার , CHURCH সহ যে সমস্ত ধর্ম স্থান রয়েছে তাদের সমস্ত সম্পদের অন্তত পক্ষে ৫০শতাংশ  সম্পদ কোরোনা বিরোধী লড়াই-য়ে সাহায্যের জন্যে আবেদন করা।।

লকডাউন চলাকালীন কোনো বেসরকারি সংস্থা স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করতে না পারে সে দিকে সরকার-কে লক্ষ রাখতে হবে।।

স্যার আপনার কাছে আমার প্রশ্ন???

দেশে
৫৪৫ সাংসদ
২৪৫ রাজ্যসভার সাংসদ
৪১২০বিধায়ক

মোট ৪৯১০ জন জনপ্রতিনিধি!
প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি যদি নিজস্ব একাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা(প্রত্যেকের সম্পত্তির তুলনায় নগন্য) করে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করে, তবে ২৪৫৫০০০০০০ টাকা!
মানে ২৪৫কোটি ৫০ লক্ষ টাকা জমা হয় !

এর সঙ্গে আছে-ন বিরাট সংখ্যক প্রাক্তন সাংসদ এবং বিধায়ক এবং তাদের পরিবারেরা।
প্রধানমন্ত্রী এদের কাছে আবেদন না করে
কেন সবসময় মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তের কাছেই আবেদন জানান?
জনপ্রতিনিধি দের সংসার, ঠাটবাট চলে জনগনের ট্যাক্সের টাকায়!
দেশের এমন বিপর্যয়ে এদের কি জনগনের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই?

আমার এরকম পরিস্থিতিতে যা মনে হয়েছে আমি তাই বলেছি যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আমার কথাগুলি শুধু ‌ বাংলায় কিংবা শুধু ইংরাজীতে ‌ উপস্থিত করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।।

ধন্যবাদান্তে,

সুজিত ঠাকুর
অষ্টম শ্রেণী,দক্ষিণ ২৪ পরগণা, শিরাকোল,থানা :উস্থি
মেইল আইডি: sujitt030@gmail.com

অনুলিপি ১.পশ্চিম বঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী-র কাছে পাঠানো হল।।
২. প্রাক্তন বিধায়িকা অনুরাধা পূততুন্ড।।

Previous articleউপদেষ্টাদের নিয়ে বিজ্ঞাপনী খরচ: রাজ্যকে তুলোধনা বিরোধীদের
Next articleশহরের প্রথম স্যানিটাইজিং গেট! যা শুধু হাত নয়, পুরো শরীরকেই করবে জীবাণুমুক্ত