প্রধানমন্ত্রীর ডাকে প্রদীপ জ্বালিয়ে শোকজ চিঠি পেলেন বেলপাহাড়ির সরকারি ডাক্তার

​প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে ৫ এপ্রিল, রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানোর অনুরোধ করেছিলেন৷ এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে মোদি বলেছিলেন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ৷ কেউ একা নয়৷ এই বার্তা দিতেই দেশজুড়ে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানান তিনি৷

মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিন বাতি নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন এক রাজ্য সরকারি চিকিৎসক। চিকিৎসকের নাম ডাঃ তীর্থপ্রসাদ চক্রবর্তী ৷ তিনি ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর-২ নম্বর ব্লকের বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার৷ অভিযোগ, এই তীর্থপ্রসাদ চক্রবর্তীই গত ৫ এপ্রিল, রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য ওই গ্রামীণ হাসপাতালের আলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ ফলে
অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল।

আর এ ধরনের বিশৃঙ্খল কাজের জন্য ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার তীর্থ প্রসাদ চক্রবর্তীকে শোকজ চিঠি ধরালেন জেলার CMOH বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শো-কজের অঙ্গ হিসাবে এই চিকিসকের কাছে মোট ৬ দফা প্রশ্নের জবাব তলব করা হয়েছে৷

১) ওইদিন হাসপাতালের আলো এভাবে বন্ধ করার নির্দেশ আপনাকে কে দিয়েছিলেন ?

২) প্রদীপ, দিয়া কেনার টাকা আপনাকে কে জুগিয়েছিলেন ?

৩) এই সব জিনিসপত্র কে কিনে এনেছিলেন ?

৪) ওই কর্মসূচির ছবি তোলার ও ভিডিওগ্রাফি করার অনুমতি আপনাকে কে দিয়েছিলেন ?

৫) কেন আপনি এই কর্মসূচির ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ?

৬) আপনি রাজ্য সরকারের কর্মী৷ এই কর্মসূচি পালন করতে রাজ্য সরকার কি আপনাকে নির্দেশ দিয়েছিলো ?

গত ১০ এপ্রিল তাঁকে কারণ দর্শানোর এই নোটিস দেন ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।বলা হয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিতে হবে৷ বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নজরেও আনেন তিনি। ইতিমধ্যে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে হাসপাতালে আলো নিভিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ উচিত হয়নি বলেই মত অনেকের। প্রসঙ্গত, হাসপাতাল বা অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কেন্দ্রের আল বাতি বন্ধ রাখতে একবারও বলেননি প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের চেয়ারম্যান অমিত মালব্য৷ এক টুইট বার্তায় মালব্য বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের সব থেকে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ৷ ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জোর করে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে৷ হাসপাতাল সিল করা হচ্ছে৷ আর এর মধ্যেই বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়েছে ওই দিন প্রদীপ জ্বালানোর জন্য৷”

Previous articleছেলের চেয়েও ছোট যুবকের সঙ্গে প্রেমে মজেছেন নেইমারের মা
Next articleসুস্থ হয়ে উঠে ফের করোনা সংক্রমণ, এবার নয়ডায়