লকডাউন: যাদবপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের পাশে বাম ছাত্র-যুবরা

লকডাউনের পর থেকেই যাদবপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। শুধু হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই নয়, দুঃস্থ মানুষদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন দিন যুক্ত হচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। সোমবার যেমন তাঁদের এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। এদিন যাদবপুরে তিনভাগে বেরিয়েছিলেন ছাত্র-যুবরা। বিজয়গড়, শ্রীকলোনি আর বাপুজিনগরে রান্না করা দুপুরের খাবার তাঁরা তুলে দিয়েছেন ৫১৫ জনকে। বিজয়গড়, যাদবপুর, শ্রীকলোনি, বাঘাযতীন, বিদ্যাসাগর, রামগড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভ্যানে করে খাবার বিলি করা হয়।

আর শুধু পাত বেড়ে খাওয়ানোই নয়, বাপুজিনগর থেকে প্যাকেটি করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় যাদবপুর-বাঘাযতীন স্টেশন সহ বেশ কিছু জায়গাতেও। একদিন দুদিন নয়, এই উদ্যোগ সোমবার দ্বাদশ দিন পূর্ণ করল। লকডাউনের নিয়ম মেনে, পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে খাবার তৈরি করে পৌঁছে দিচ্ছেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা।
তবে খাবার রান্না করে বিলি করা বা পৌঁছে দেওয়াতে থেমে থাকছে না তাঁদের উদ্যোগ। ফোন পেলেই নবীন কমরেডরা ছুটছেন বয়স্ক মানুষদের খাবার, ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিতে।
যাদবপুরের বাম নেতৃত্বের মতে দল দেখে নয়, ভোট বাক্সের দিকে তাকিয়েও নয়, শুধুমাত্র কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এই ছাত্র-যুবরা। তাদের এই উদ্যোগ দেখে হাত বাড়িয়েছেন আরও অনেকে। যেমন
রাসবিহারী ‘শৈলুষিক’-এর পক্ষ থেকে চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চাকরি থাকবে কি না, বেকাররা চাকরি পাবেন কি না- তা জানা নেই। কিন্তু এখন নিজেদের এইসব চিন্তা দূরে সরিয়ে আর্ত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই তরুণ কমরেডরা।

Previous articleআরও একটি ই-বই প্রকাশিত, তিরিশ হাজার পাঠকের কাছে ইরিডার্স
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ