Exclusive : আটকে থাকা বাঙালি শ্রমিকদের বেনজির স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে বিজয়নের কেরল

কর্মসূত্রে কেরলে গিয়ে এই লকডাউন কালে আটকে আছেন অসংখ্য বাঙালি শ্রমিক৷

এবং তাদের পাশে সব ধরনের পরিষেবা নিয়ে দাঁড়িয়েছে কেরল সরকার৷ বস্তুত এই ধরনের উদ্যোগ গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্য সরকারই নিয়ে উঠতে পারেনি৷

পরিযায়ী এবং অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কেরলের এর্নাকুলামে চালু করা হয়েছে মোবাইল মেডিক্যাল ক্লিনিক, নাম, ‘বন্ধু’৷ বাসের গায়ে ঢাউস করে বাংলায় লেখা ‘বন্ধু’৷ আটকে থাকা বাঙালি শ্রমিকরা যাতে বুঝতে পারেন, সেজন্য বাস তথা মেডিক্যাল মোবাইল ক্লিনিকের চারধারে বাংলায় লেখা ঠিক কোন ধরনের পরিষেবা বিনা খরচে সরকার দিচ্ছে৷


‘বন্ধু’ ক্লিনিকটি একেবারে নতুন ঝকঝকে একটি বাসে তৈরি করা হয়েছে৷ এর্নাকুলাম জেলার যেখানে যেখানে পরিযায়ী ও অভিবাসী শ্রমিকরা থাকেন, সেখানে নিত্যদিন ঘুরছে ‘বন্ধু’৷ করোনা এবং অন্যান্য রোগ সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতন করার পাশাপাশি ঢালাও চিকিৎসার কাজ চালাচ্ছে এই ‘বন্ধু’৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ এই মোবাইন ক্লিনিকটি করে যাচ্ছে বলেই এর নাম রাখা হয়েছে ‘বন্ধু’৷

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং সেন্টার ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে উদ্বোধন করা হয়েছে ক্লিনিকটি ৷ প্রথম ২ সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের কাছে পৌঁছেছে এই ‘বন্ধু’৷ মোবাইল এই ক্লিনিকে একজন ডাক্তার, নার্স, নার্সিং সহকারি, ড্রাইভার এবং একজন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রয়েছেন৷ ক্লিনিকটি প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত করোনা-টেস্ট করছে৷ রোজ প্রায় ৩০০-৪০০ ব্যক্তির স্ক্রিন করেছে এই মোবাইল ভ্যান৷

ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস এই মোবাইল ক্লিনিকটির স্পনসর৷ আর কেরলের ESAF স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক বহন করছে পরিচালন খরচ৷ মোবাইল ক্লিনিকটির নোডাল অফিসার বলেছেন, “কেরল সরকার “অতিথি দেবঃ ভব” নীতিতে চালিত হয়েই এই পরিষেবা চালু করেছেন কেরলে আটকে থাকা ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা যাতে অসহায় বোধ না করেন, সে কারনেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন শ্রমিকদের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন”৷ ‘বন্ধু’ ক্লিনিকের বিশেষত্ব হলো এটি পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা দিচ্ছে ভাষা সমস্যার সমাধান করেই৷

Previous articleছেলেকেও নাচ শেখাতে ছাড়লেন না মাধুরী!!!
Next articleলকডাউনের মধ্যে যাদের স্বাস্থ্য ও গাড়ি বিমার টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাদের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ল ১৫ মে পর্যন্ত। জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমন