লকডাউনের সুফল, কোভিড সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার গতি কমছে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

দেশজুড়ে টানা লকডাউনের সুফল মিলছে। গত কয়েকদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর। সোমবার দেশের কোভিড চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানান, লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সুফল দেখা যাচ্ছে। দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিগুণ হওয়ার গতি গত সাতদিনে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আগে যেখানে ৩.৪ দিনে করোনা-কেস দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে ৭.৫ দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ১৫৫৩ এবং ৩৬। ভারতের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি হল: মোট আক্রান্ত ১৭,২৬৫, অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৪,১৭৫, মৃত্যুসংখ্যা ৫৪৩, সুস্থ হয়েছেন ২৫৪৭। করোনায় মৃত্যুর হার ৩.১৪% এবং সুস্থ হওয়ার হার ১৪.৭৫%। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ১৪ দিনে দেশের ৫৯ টি জেলায় একজনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে গোয়ায় এই মুহূর্তে সব কোভিড আক্রান্তই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর ডাঃ রমন গঙ্গাখেডকর বলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষই উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাই সবচেয়ে কার্যকরী পথ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাইসেডের কিটের মান নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছে সে সম্পর্কেও জবাব দেন গঙ্গাখেডকর। তাঁর বক্তব্য: পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যে আরটি-পিসিআর কিট দেওয়া হয়েছে তা ইউএস শংসাপ্রাপ্ত এবং গুণমানেও উত্তীর্ণ। কিন্তু এই কিটগুলি ব্যবহারের সময় সবসময় ঘরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কম হতে হবে, না হলে পরীক্ষার ফল ভুল আসতে পারে। তাপমাত্রাজনিত গাইডলাইন মানার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়তো হয়েছে। তবে নাইসেডের কলকাতার কার্যালয়ে ১০ হাজার কিট আছে। বাংলার সরকার চাইলে তা দেওয়া হবে।

Previous articleলকডাউন: কোচবিহারে মদের কারখানার গুদাম খুলে বাইরে সরবরাহ, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
Next articleলকডাউনের জেরে বাড়িতে খাবার নেই, অগত্যা বিষাক্ত গোখরো দিয়েই পেট ভরালেন তিনজন