করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল আশা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যাযয়ের অভিযোগ, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর হস্তক্ষেপ। রাজ্য সরকার সব ধরণের চেষ্টা করছে। এখন দরকার কোথায় চাল-ডাল নেই, মানুষের খাবারের জোগাড় যাতে ঠিক মতো হয় সে সব দেখা। সেই কাজ যথাযথভাবে না করে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করা হচ্ছে।
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী পরিষ্কার ভাষায় কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারকেই দুষেছেন। বলেছেন দুই সরকার যে কী চাইছে বোঝা মুশকিল! একজন ৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য রাস্তায় সর্পিল লাইন তৈরি করে দিল। আর এই রাজ্য সরকার বাড়িতে রেশন পৌঁছে না দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় রেশনের জন্য লাইন তৈরি করল। আবার তার সঙ্গে চুরি-চামারি। এখনই পদক্ষেপ না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বলেছেন, এটাই তো স্বাভাবিক ছিল। একের পর এক এলাকা থেকে অভিযোগ যাচ্ছে। ছবি প্রমাণ করে দিচ্ছে যে কীভাবে মানুষ রাস্তায় নামছে, বাজার দোকান হোক বা রেশন, মানুষের লাইন। কোথায় মানুষকে ঘরে রাখা হবে, তা না করে রাস্তায় ব্যাপক ভিড়। একটা ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এতে লকডাউনের আসল উদ্দেশ্যই মাঠে মারা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় দলকে রাজ্য সরকার বাধ্য করেছে আসতে।