দিনভর বিএসএফ হেড-কোয়ার্টাসেই “বন্দি” কেন্দ্রীয় দল, চললো দফায় দফায় বৈঠক

সকাল থেকেই তৎপরতা লক্ষ করা গিয়েছে বালিগঞ্জ  গুরুসদয় রোডের বিএসএফ হেডকোয়ার্টার। মঙ্গলবার দুপুরের পর আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা আইএমসিটি’র প্রতিনিধিরা কলকাতার বেশকিছু অঞ্চল পরিদর্শন করলেও বুধবার দিনভর তাঁদের প্রকাশ্যে দেখা গেলো না। মনেকরা হয়েছিল এদিনও তাঁরা বিভিন্ন সংক্রমিত অঞ্চল ঘুরে দেখবেন। দক্ষিণ কলকাতার গুরুসদয় রোডের বিএসএফ সদর দফতরের ভিতরে ও বাইরে তৎপরতাও ছিল। প্রতিনিধি দলের জন্য কলকাতা পুলিশ ও বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে রাখা হয়েছিল কনভয় এবং পাইলট কার। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কেউ বেরোনোনি।

বিভিন্ন সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। তখন মনেকরা হচ্ছিল, যে কোনও মুহূর্তে কেন্দ্রীয় দল কলকাতা ও হাওড়া পরিদর্শনে বের হতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও বিএসএফ হেড কোয়ার্টাসে “বন্দি” ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় দল কেন পরিদর্শনে বের হল না, তা নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও পক্ষই কিছু জানায়নি।

প্রসঙ্গত, শুরুটা হয়েছিল সংঘাত দিয়ে। তবে আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সমঝোতার পথেই হেঁটেছে কেন্দ্র-রাজ্য। দু’পক্ষের বৈঠকের পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সংক্রমিত এলাকা অৰ্থাৎ, রেড জোন ঘুরে দেখেন আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা আইএমসিটি’র প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই নবান্ন এবং নাইসেড থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল হাতে পেয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছিল তারা।

উল্লেখ্য, নবান্নের তরফে এখন থেকে প্রতিদিন রুটিন মাফিক কোভিড–১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় দেওয়া তুলে দেওয়া হবে আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলকে। গতকাল, মঙ্গলবার বিএসএফ–এর সদর দপ্তরে আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা আইএমসিটি–র সঙ্গে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার বৈঠক শেষে এমনই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় দুই পক্ষ। রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানিয়ে ছিলেন, রাজ্যের তরফে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

লকডাউন বিধি পালন এবং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত সোমবার শহরে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারা গঠিত আইএমসিটি। সারা দেশের জন্য ৬টি আইএমসিটি গঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন হটস্পট এলাকা ঘুরে দেখবেন এই দলের প্রতিনিধিরা।

যেসব এলাকায় যাবে কেন্দ্রীয় দল, সেগুলির মধ্যে রয়েছে রাজস্থানের জয়পুর, মধ্য প্রদেশের ইনদোর, মহারাষ্ট্রের মুম্বই এবং পুনে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি-সহ আরও বেশ কিছু এলাকা।

Previous articleবাদুড়িয়া : মুখ্যমন্ত্রী-খাদ্যমন্ত্রী-দিলীপের তরজা
Next articleবাবার শেষকৃত্যেও এলেন না মিঠুন!