করোনা-আবহে কলকাতা পুরসভার মেয়াদবৃদ্ধির ভাবনা, প্রয়োজন রাজ্যপালের অনুমোদন

কলকাতা পুরসভার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস বৃদ্ধির জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ মেয়াদ বৃদ্ধি হলে মেয়র ও মেয়র পারিষদ, প্রত্যেক কাউন্সিলরই এর সুবিধা পাবেন৷ কারন সবার প্রশাসনিক ক্ষমতার মেয়াদও ৬ মাস বাড়বে। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ মে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

তবে মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হলে ৬ মে’র মধ্যেই রাজ্যপালের সম্মতি নিয়েই অর্ডিন্যান্স জারি করতে হবে রাজ্যকে। এই মুহুর্তে রাজ্য-রাজ্যপালে সম্পর্ক যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাতে খুব সহজে এই প্রস্তাবে রাজভবনের অনুমোদন নাও মিলতে পারে৷ রাজ্যপালও আইনি পরামর্শ নিয়ে, আইনি গণ্ডিতে থেকেই বিকল্প কোনও সুপারিশ করতে পারেন৷
কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একথা স্বীকার করে বলেছেন, “কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে প্রশাসক বসানো নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও আইন নেই৷ করোনা মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের আইন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত জানা হচ্ছে৷” পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, “ কলকাতা ছাড়া রাজ্যের অন্য সমস্ত পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতেই নির্দিষ্ট দিনেই প্রশাসক বসবে। সেক্ষেত্রে কোনও আইনগত সমস্যা নেই৷”
করোনা প্রতিরোধে কলকাতার প্রায় সব ওয়ার্ডেই কাউন্সিলররা কাজ করছেন৷ এলাকায় কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে শহরে বিপদ বৃদ্ধির প্রবল আশঙ্কা বলেই সরকার মনে করছে৷

এদিকে অন্য একটি সমস্যাও রাজ্যকে ভাবাচ্ছে৷ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে আগামী ৬ মে রাতের মধ্যেই রাজ্যপালের সম্মতি নিয়েই অর্ডিন্যান্স জারি করতে হবে রাজ্যকে। এই মুহুর্তে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকেছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এই প্রস্তাব অনুমোদন না করলে সংকট বাড়বে৷

তবে তেমন পরিস্থিতি হলে বিষয়টি নিয়ে কলকাতার নাগরিকদের দরবারে যাওয়া হবে বলেই ভেবে রেখেছে তৃণমূল৷ কলকাতা সংকটাপন্ন হলে তার দায় রাজ্যপাল ও বিজেপি’র ঘাড়ে ফেলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তৃণমূল৷

Corona update
Previous articleএই ১৮ দেশে ঢুকতেই পারেনি করোনাভাইরাস
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স: আছেন মমতা সহ অন্যরা, অনুপস্থিত বিজয়ন