সেম-সাইড গোল রাজ্য বিজেপির, দিলীপদের স্ট্রেইট ব্যাটে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন অভিষেক!

মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার করতে গিয়ে এবার নিজেদের জালেই বল ঢোকাল রাজ্য বিজেপি নেতারা। যাকে বলে সিম-সাইড গোল। অন্যদিকে, লুস বলে স্ট্রেইট ব্যাটে খেলে দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিংহাদের বাপি বাড়ি যা স্টাইলে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘটনার সূত্রপাত, গতকাল সোমবার। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর খুব বাড়াবাড়ি না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা হবে। অৰ্থাৎ, হোম কোয়রাইন্টাইনে চিকিৎসা করা হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, করোনায় আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের এখন থেকে আর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। হোম কোয়ারেন্টাইনেই তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরই আসরে নামে বঙ্গ বিজেপি।

আজ, মঙ্গলবার সকালে প্রথমেই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বলেন, বাড়িতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা অত্যন্ত নির্বুদ্ধিতার কাজ। যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাইরে চলে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই হোম কোয়রাইন্টাই-এর কথা বলে ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা চলছে।

এর কিছুক্ষণ পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও ময়দানে নামেন। তাঁর অভিযোগ, আসলে মুখ্যমন্ত্রী নাকি বুঝে গিয়েছেন, হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। তাই গতকাল বলেছেন, কেন্দ্র যা বলবে তাই মেনে নেব । তিনি এতদিন রাজনীতি করেছেন। এখন ম্যাচ হেরে গিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই বলছেন, বাড়িতে চিকিৎসার কথা। এটা কতটা বিজ্ঞানসম্মত, ভাবা দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার মোটেও বলেনি, করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে চিকিৎসা হবে।

এরপরই খেলাটা জমে যায়। কারণ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি আগ বাড়িয়ে এমন মন্তব্য করার আগেই কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের হোম কোয়রাইন্টাইনে চিকিৎসা নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই গাইড লাইনে বলা হয়েছে, যাঁরা উপসর্গহীন বা যাঁদের সামান্য উপসর্গ রয়েছে, চিকিৎসক অনুমতি দিলে তাঁরা বিধিনিষেধ মেনে বাড়িতেই থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই চিকিৎসা চলবে করোনা আক্রান্তদের।

এদিকে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রের গাইড লাইনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে ঢোঁক গেলেন তারপর অদ্ভুত দাবি করে বলেন, এমন কোনও সার্কুলারের কথা নাকি জানেনই না। পুরো সেম-সাইড গোল!

এদিকে, লুস বল পেয়ে স্ট্রেইট বাউন্ডারির বাইরে তা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার কাল যে কথা বলেছে, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও একই কথা বলেছে। এবার হয়তো বিজেপি নেতাদের মুখ বন্ধ হবে।”

Previous article‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের টাকা পেতে আবেদন করতে হবে অন্যভাবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleবিশ্বব্যাপী লকডাউনে কমেছে দূষণ, বন্ধ হতে শুরু করেছে ওজোন স্তরের বিশাল গর্ত !