করোনা রুখতে চলছে লকডাউন। তবে শুধু সাধারণ মানুষই লকডাউনের নিয়ম ভাঙছে না। নিয়ম অমান্য করেছেন সিআরপিএফ-এর জওয়ানও। তাঁর অপরাধ রাস্তায় মাস্ক না পরে বেরোনো।

ঘটনা কর্নাটকের। তাঁর বিরুদ্ধে মাস্ক না পরে ঘোরাফেরা করার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে কর্ণাটকে সিআরপিএফ-এর কোবরা ব্যাটেলিয়নের এক কমান্ডোকে থানায় চেন বেঁধে রাখা হল। সিআরপিএফের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল চিঠি পাঠিয়ে কর্ণাটক পুলিশের ডিজিপি প্রভীন সুদের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন। এমনকী এই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা এফআইএর করার কথাও ভেবেছেন বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই জওয়ানের নাম সচিন সাওয়ান্ত। কর্ণাটকের বেলাগাভি শহরের ওই যুবক ছুটির জন্য নিজের বাড়িতে ছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল মাস্ক না পরে রাস্তার ঘোরার সময় কর্তব্যরত দুই পুলিশ কনেস্টবল তাঁকে আটক করেন। তিনি মাস্ক না পরে রাস্তায় কেন ঘুরছেন তা জিজ্ঞাসা করেন। এর উত্তরে ওই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। সেসময় সচিন অকথ্য ভাষায় তাঁদের গালাগালি করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন সিআরপিএফ জওয়ান। আপনারা আমাকে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না। আমি আপনাদের নির্দেশ কখনই মানব না।’ এরপর তিনি ওই পুলিশ কর্মীদের লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে সচিন সাওয়ান্ত গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

তবে সচিনের ঘনিষ্ঠরা দাবি করেন, সচিন নিজের বাড়ির সামনে বাইক পরিষ্কার করছিলেন। সেসময় আচমকা সেখানে উপস্থিত হয়ে গন্ডগোল শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তাঁকে মারধর করার সঙ্গে সঙ্গে খালি পায়ে থানায় নিয়ে গিয়ে চেন দিয়ে বেঁধে রাখে। এই ঘটনায় সমস্ত সিআরপিএফ জওয়ানকে অপমান করা হয়েছে।