বছর ছ’য়েকের মেয়ের অভিযোগ ‘মা রোজ মারে, মায়ের কাছে যাব না’

এই লকডাউনের সময় বছর ছয়েকের একটি মেয়ে তার ভাইকে নিয়ে থানার আশেপাশে ঘুরছিল। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তার চোখে-মুখে মারের আঘাত।

ঘটনাটি নিমতার। মেয়েটি পুলিশকে অভিযোগে জানায়, ‘‘মা আমাকে আর ভাইকে রোজ মারে। আমি স্কুলের বড়দির কাছে যেতে চাই। দিদিমণির কাছে থাকলে বেঁচে যাব। কিন্তু মায়ের কাছে যাব না।’’ শুধু তা-ই নয়, মেয়েটি পুলিশকে তার স্কুলের আরও এক শিক্ষিকার নাম বলে যিনি স্কুলের মিড-ডে মিলের স্বর্ণজয়ন্তী গোষ্ঠীর সম্পাদক। জানায়, তাঁর বাড়িতে দিয়ে এলেও সে বড়দির কাছে পৌঁছে যাবে। শিশুটির কথা যাচাই করতে থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয় মিড-ডে মিলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সোমা হালদারকে। ডেকে পাঠানো হয় নিমতার নারায়ণপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মানসী মণ্ডলকেও। তিনি জানান, মেয়েটি তাঁদের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আগে তারা স্কুল সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। কিন্তু লকডাউন শুরুর ঠিক মুখে ওই বাড়ি ছেড়ে দেন। তার পরেও ওই মেয়েটি এক-দু’দিন স্কুলে এসেছিল। তার পরে আর আসেনি।

মেয়েটির মায়ের দাবি, তিনি ঘরে তালা দিয়ে ছেলেমেয়েকে বাইরে রেখে রেশন আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের চোখ-মুখে মারধরের দাগ এল কোথা থেকে, জানাতে পারেননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম দিন বাচ্চা দু’টিকে সোমা হালদারের কাছে রাখা হয়েছিল রাতটুকু কাটানোর জন্য। পরের দিন পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয় মায়ের বিরুদ্ধে।

আপাতত জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির নির্দেশে মেয়েটিকে হোমে পাঠিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা চাইল্ড লাইন।

Previous articleসুরাইয়ার প্রভাবে ১২ মের পর পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে রোগ-ব্যাধি! কামাল হোসেনের কলম
Next articleএবার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছাবে নগদ টাকা, অভিনব ব্যবস্থা দেশেরই এক রাজ্যে