বলিউডের পাশাপাশি ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকাহত টলিউড। বাংলা ছবির অনেক কুশীলবের ইরফানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শোক প্রকাশ করলেন তাঁরা।

যিশু সেনগুপ্ত

‘পিকু’ ছবিতে কাজ করতে গিয়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় যিশুর। তাঁর মতে, ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন ইরফান খান। কাজের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যিশু বলেন, “কখনও মনে হয়নি হলিউডে কাজ করা কোন অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছি”। এতটাই অমায়িক মানুষ ছিলেন ইরফান। সেটে সবার সঙ্গে মজা করতেন। আড্ডা দিয়ে মাতিয়ে রাখতেন শুটিং জোন।

অনুপম রায়


পিকু’ ছবিতে টাইটেল ট্রাক করেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়। ইরফান খানের মৃত্যু সংবাদ শোনা পরে তিনি বলেন, “খুব মন খারাপ হয়ে গেল”। ‘পিকু’ ছবিতে কাজের সূত্রে অনুপমের সঙ্গে আলাপ ইরফানের। মুম্বইয়ে প্রিমিয়ারে অভিনেতার সঙ্গে বসে ছবি দেখেছিলেন অনুপম। রাতে অনেকক্ষণ চলেছিল আড্ডা। মজা করে অনুপমকে বলেছিলেন, হিরোদের মতো এ ছবিতে তাঁর লিপেও রোমান্টিক গান আছে। “আমার আচ্ছে দিন”। ইরফানের এই কথায় সেদিন সবাই খুব হেসেছিলেন।

ইরফান জানিয়েছিলেন অনুপমের গান তার ভালো লেগেছে। এই প্রসঙ্গে একটা মজার কথা জানান অনুপম। প্রিমিয়ারে দীপিকার সঙ্গে একটি সেলফি তোলার চেষ্টা করছিলেন অনুপম রায়। কোনরকমে সেই সুযোগ আসে। সেইসময় দীপিকা- অনুপমের সঙ্গেই পিছন দিক থেকে ফ্রেমে এসে যান ইরফান। পরে তিনি অনুপমকে বলেন, “আমি এসে তোমার ছবিটা খারাপ করে দিলাম।” উল্টো অনুপম বলেন, “আপনি এসে ছবির মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন”। আজকে সেই ছবিটাই অনুপম রায়ের কাছে ইরফানের সবচেয়ে বড় স্মৃতি।

পার্নো মিত্র


একটি বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন ইরফান খান। ছবির নাম ‘ডুব’। সেখানে তাঁর সঙ্গে কাজ করেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ইরফানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি বলেন, সহ-অভিনেতা হিসেবে তাঁর কোন তুলনাই হয় না। “এত বড় মাপের একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সময় অনেক কিছু শিখেছি। উনি যে দুনিয়ায় থাকুন, সেখানেই ভালো থাকুন এটুকুই চাই”



