নভেল ভাইরাসের শৃঙ্খল রুখতে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। তবে তৃতীয় দফার লকডাউন চললেও এখনও অনেক মানুষ সচেতন নয়। বিজ্ঞানীদের মত অনুসারে, এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সর্তকতা অবলম্বন না করলে ফের দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা ভারতে।
বর্ষায় তীব্রভাবে হানা দিতে পারে করোনা। জানাচ্ছেন একাংশের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা মনে করছেন, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টে করোনার দাপট ফের বাড়তে পারে ভারতে। আর দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নির্ভর করছে সামাজিক দূরত্ব বৃ্দ্ধি, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নিয়মিত স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের মত স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তার ওপর।
শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সমিত ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, নতুন করে করোনা আক্রান্তের হার কিছুটা কমলেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমনের হার বাড়তে পারে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে ‘সেকেন্ড ওয়েভ’। উপযুক্ত সর্তকতা অবলম্বন না করলে বর্ষার সময় করোনা আতঙ্ক ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে নতুন করে করোনা আক্রান্তের হার কমেছে। তবে চিন, ইউরোপে দেখা গিয়েছে প্রথমবার করোনির সংক্রমণ সেরে ওঠার পর ফের দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের দেশেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আশ্চর্যের কিছু নেই। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে কীভাবে লকডাউন তোলা হচ্ছে তার ওপর। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সাবধানতা মেনে চলাই করোনার হাত থেকে মুক্তির একমাত্র পথ। তিনি আরও জানান, বর্ষার সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হন। তাই জ্বর হলে সতর্ক হতে হবে। উপসর্গ না থাকলেও করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। বিশেষত হটস্পট এলাকাগুলিতে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর অধ্যাপক রাজেশ সুন্দর্শন ঠিক একই কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, লকডাউন উঠে গেলেই ফের হানা দিতে পারে করোনাভাইরাস। চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চিনেও এমনটাই ঘটেছে। হার্ভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা অনুযায়ী, করণা মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া স্যানিটাইজার মাস্ক ব্যবহার করা। শুধু এক বছর নয় চালিয়ে যেতে হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত। তাহলেই হয়তো করোনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
