ভিন রাজ্যে আটকে পড়াদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাম-কংগ্রেসের

এতদিন ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এবার ভিন রাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যবাসীর হয়ে সরকারে বিরুদ্ধে সরব বাম-কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার, বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিক, ভিন রাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলার মানুষ, পড়ুয়া, পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে দু দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এঁদের জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা করছে তার স্পষ্ট রূপরেখা নেই। এমনকী এ বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের তরফ থেকে কোনও নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা করেছে রাজ্যের দুই বিরোধী দল। একই সঙ্গে তারা হেল্পলাইন চালুর দাবি করেছে। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যবাসীর জন্য হেল্পলাইন এবং ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, অন্য রাজ্য থেকে বাসিন্দাদের নিয়ে মাত্র দুটো ট্রেন এসেছে বাংলায়। শুধু তাই নয়, তাঁদের টিকিটের ভাড়া নিয়েও টালবাহানা হয়েছে। এই বিষয়ে সরকারের গাইডলাইন প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস। সবাইকে প্রোটোকল মেনে চলার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে গত বাজেট অধিবেশনেই বিরোধীরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য তাঁদের নাম লিপিবদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাবে আমল দেয়নি রাজ্য সরকার। লকডাউনের এই কঠিন সময় সরকার সার্বিক সহযোগিতার বদলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছে দুই বিরোধী দল। চিঠির তলায় সই রয়েছে বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের। করোনা পরিস্থিতিতে যখন রাজ্যের সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সাহায্য, সহযোগিতার প্রত্যাশী। তখনও ঘোলা জলে মাছ ধরতে পিছপা নয় বিরোধী দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এই কঠিন সময়ে রাজনীতি না করার আবেদন জানিয়েছেন। লকডাউনের প্রথম পর্যায়েই সর্বদল বৈঠক ডেকে মতামত গ্রহণ করেছেন। সে বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিরোধীদের অভিযোগের তালিকা শেষ হচ্ছে না।

Previous articleযাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে করোনা আক্রান্ত ৩ প্রসূতি
Next articleভাইজাগ গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের