Sunday, August 24, 2025

আজকাল পত্রিকার জট কাটার ইঙ্গিত।
সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে যে বেতন কাটা হয়েছে, তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফেরত পাবেন কর্মীরা। তাছাড়া লকডাউন মিটলে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী। বৈঠকে রাখা হবে সম্পাদক অশোক দাশগুপ্তকেও।

কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বাজেভাবে সামাল দিতে যাওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।
সত্যমবাবু স্থায়ীভাবে বেতন কাটার কথা বলতে চাননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর অন্য ব্যবসাতেও আয় কমে গেছে। ফলে আজকালে যতটা টাকা দেওয়ার কথা, ঘাটতির পরিস্থিতি হচ্ছে। সত্যম চেয়েছিলেন কিছু ধাপ করে আপাতত বেতনে কাটছাঁট করতে, যেটা তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুষিয়ে দেবেন।

কিন্তু এই বার্তাটা সঠিকভাবে কর্মীদের কাছে যায়নি।
ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে দেখে সত্যম হস্তক্ষেপ করতে গেছিলেন। তখন তাঁর নবগঠিত কমিটির দু একজন বলেন তাঁরাই সামলে দিচ্ছেন। সত্যমকে এ বিষয়ে ঢুকতে হবে না। ফলে সত্যম তাদের উপর নির্ভর করেন। তাদের জঘন্য অ্যাটিটিউডের জন্য গোটাটা তালগোল পাকায়। ভুল বার্তা যায়। ইউনিয়ন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। তখন আবার প্রতিবাদীদের সাসপেন্ড করা হয়।

জানা গিয়েছে, সত্যমবাবু বিষয়টি অনুধাবন করেছেন। তিনি অকারণ কর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি চান না। ফলে কমিটির দু একজন স্বঘোষিত মাতব্বরের উপর নির্ভর না করে তিনি নিজেই বিষয়টি দেখবেন।

ঘটনা হল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদীদের শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যেতে হবেই। কিন্তু সেটা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে না দমনপীড়নের বদনাম নিয়ে, সেটাই আসল কথা। কথায় কথায় চিঠি ধরিয়ে শাসন করে দাপট দেখানোটা বাংলা মিডিয়ায় চলে না, এটা আমদানিকৃত অবোধরা বুঝবে না। সত্যম বুঝেছেন শৃঙ্খলা রাখতে তাঁর হেসে কথা বলাটাই যথেষ্ট।

ফলে লকডাউন শেষ হলে কর্মীদের সঙ্গে বসে সব স্বাভাবিক করে তোলার ইচ্ছে আছে সত্যমের।
পাশাপাশি, এটাও দেখবেন তাঁরা যে আজকালের মত কাগজ এত পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েও কেন প্রচার এবং প্রভাবে বাড়ে না? কেন সঙ্কট কাটে না? কারা দিনের পর বড় পদ আগলে সব সুযোগ সুবিধে নিয়েও প্রতিষ্ঠানকে ডুবিয়ে চলেছেন? পারছেন না বুঝেও তাঁরা চেয়ার ছাড়েন না কেন? সার্কুলেশন কমবে, প্রভাব কমবে, অথচ তাঁদের শুধু টাকা দিয়ে যেতে হবে নিয়ম করে, এটা কতদিন চলবে? যাঁরা কাগজকে সাফল্য দিতে পারছেন না, তাঁরা লজ্জাহীনভাবে বিভিন্ন পদ আঁকড়ে থাকবেন কেন? সত্যমের শুভানুধ্যায়ীমহল মনে করেন, এই সমস্যাগুলির সমাধান হলে সাধারণ কর্মীদের কল্যাণেও অনেক কাজ করা যাবে। সত্যম আসার পর যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। সত্যমবাবু আপাতত আজকালের বহু মেদ ঝরিয়ে কার্যকারিতা ফেরানোর চেষ্টা করবেন। তাঁর আশা তিনি কর্মীদের সহযোগিতা পাবেন।

ইউনিয়নের বক্তব্য, তাঁরা কোনো আন্দোলনে যেতে চান নি। কমিটির কয়েকজনের আচরণ এবং বেতন সংক্রান্ত বঞ্চনার যে বার্তা তাঁদের কাছে ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে বাধ্য হয়েছেন। ম্যানেজমেন্ট মানবিকতা দেখালে সংঘাতের কোনো দরকারই পড়বে না।

 

Related articles

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...

DHFC-র পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত অভিষেক, দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা

ডুরান্ড অভিষেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হয়ত তারা পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। কিন্তু গোটা...

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...
Exit mobile version