কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায় নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর (Subtata Thakur)। এমনকি দুই ভাইয়ের মা ছবিরানি ঠাকুরও এই ঘটনায় সুব্রতরই পক্ষ নিলেন। রাজ্যের উন্নয়নে কোনও ভূমিকা না নেওয়া শান্তনুর (Santanu Thakur) ভাঁওতাবাজিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে প্রভাবিত হয়েছেন তা থেকে ঠাকুরবাড়িকে রক্ষা করার কথা বলতেই শান্তনুর চক্ষুশূল সুব্রত। কার্যত ঠাকুরবাড়ির দুই বিজেপি নেতা তুলে ধরলেন কীভাবে গোটা রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভেঙে যাচ্ছে ২০২৬ নির্বাচনের আগে।
রবিবার ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে মতুয়াদের (Matua) নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করেছিলেন শান্তনু। সুব্রত ঠাকুর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন। নাট মন্দিরকে কোনও একজনের ব্যবহারের বিপক্ষে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক। আর তাতেই ঠাকুরবাড়িকে নিজের সম্পত্তি মনে করা শান্তনু ঠাকুর চরম ক্ষুব্ধ।
সুব্রত ঠাকুরের দাবি শান্তনু তাঁকে এবং তাঁদের মাকে অপমান করেছেন। তিনি বলেন, শান্তনু (Santanu Thakur) আমাকে বলছে আমার কোনও অধিকার নেই। তোর টিকিট কে দেয় আমি দেখে নেব। মাকেও গালাগালি দিয়েছে।
নাটমন্দির কে শান্তনুর একার ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছেন শান্তনু সুব্রতর মা ছবিরানী ঠাকুরও। শান্তনু ঠাকুর যে নাটমন্দিরকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জায়গা করে নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও। যদিও সাফাই দিতে মাঠে নেমেছেন শান্তনু। তাঁর দাবি, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকে অনুমতি পেয়ে কাজ করছি। মমতাবালা, সুব্রত ঠাকুর মিলে আমাকে গালাগাল করছে। সুব্রত যা করছে তা পদের লোভে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ২০ লক্ষ মানুষকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ: সাপের বিষের ওষুধও এবার বানাবে AI
মতুয়া আবেগকে কাজে লাগিয়ে শান্তনু ঠাকুর যে আখেরে এত বছর ধরে শুধু নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে গিয়েছেন, তা নিয়ে এবার সরব খোদ তাঁর ভাই তথা সুব্রত ঠাকুর। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বদের মদতে যে রাজনীতি মতুয়াদের নিয়ে, ঠাকুরবাড়িকে নিয়ে করছেন শান্তনু এবার তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর গোটা রাজ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিটাই স্পষ্ট করে দিলেন।
–
–
–
–