করোনা পায়ে হেঁটে নয়, প্লেনে চেপে এসেছে! লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রের দ্বিচারিতা তুলে ধরলেন অভিষেক

“করোনা পেয়ে হেঁটে বাংলায় ঢোকেনি, এসেছে এরোপ্লেন-চড়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে সতর্ক করেছিলেন। তখন কেন্দ্র ন্যূনতম কর্ণপাত করেনি। পার্লামেন্টে রাজ্যসভা-লোকসভা চালিয়ে গেছে। ডোমেস্টিক ফ্লাইট চালিয়েছে, এমনকী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট চালিয়েছে। এবং সেই ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট বন্ধ হয়েছে লকডাউন ঘোষণার পর।” দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি এবং লকডাউন ইস্যুতে এভাবেই কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এখানেই শেষ নয়। অভিষেক এরই বলেন, “যখন প্রথম লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল, তখন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেনি। তারা ভেবেছিল, ১৫ দিনের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় জয়ী হবে এবং তার পুরো কৃতিত্ব আদায় করবে। কিন্তু যখন দেখলো সেটা হলো না, তখনই রাজ্যগুলির উপর বাড়তি দায় চাপিয়ে দিলো।”

অভিষেক প্রশ্ন তুলে বলেন, “শেষ দুটি লকডাউন ঘোষণার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করলো। তাহলে প্রথম লকডাউনের আগে কেন করলো না। তখন এটা করলে সমস্যা এতটা জটিল হতো না। যে সমস্ত পরিযায়ী মানুষ বা শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চাইছেন, কেন তাদের ফেরার সময় দেওয়া হলো না?”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, “এন আর সি-এর নাম করে আপনি বলছেন পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর অমিত শাহের দফতর বলছে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালু করতে। বর্ডার খুলে দিতে হবে। এই দ্বিচারিতা মানুষের সামনে আমাদের তুলে ধরতে হবে। একদিকে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের উপর নরম, আর অন্যদিকে বলছে বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে তাই বর্ডার খুলতে হবে। একদিকে চোরকে চুরি করতে বলছে, অন্যদিকে গৃহস্থকে বলছে সজাগ থাকতে। একদিকে বলছে লকডাউন চলবে, অন্যদিকে বলছে সব দোকান খুলে দিতে হবে। মদের দোকান খুলে দিতে হবে। মার্কেট কমপ্লেক্স খুলে দিতে হবে। কে দায় নেবে? বাংলাদেশ থেকে যদি একটা কেস ঢোকে কেন্দ্র দায় নেবে?”

Previous articleটি-সিরিজের কেয়ারটেকার করোনা আক্রান্ত, বন্ধ হল অফিস
Next articleফের মমতাকে আক্রমণ করে সরব বিজেপির রাহুল