ভদ্রেশ্বরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য লকেটের

ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। সোমবার ওই এলাকায় যেতে গেলে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ আটকে দেয়। মানকুণ্ডু জ্যোতির মোড় থেকে লকেটকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। ঘটনায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সাংসদ তথা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী।

হুগলির সাংসদ লকেট অভিযোগ করেন, “করোনা ধরা পড়ার পরেও একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর লোক কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাইছে না। প্রশাসন তাহলে কী করতে আছে? এটা কি মগের মুলুক নাকি!” তাঁর গাড়ি আটকানো নিয়ে লকেট বলেন, “আমি ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে আসিনি। ওই এলাকায় ঢুকতামও না। শুধু পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমায় সেটাও করতে দিল না।”
পাল্টা তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা নিয়ে কেউ যদি ভাবেন যে, রাজনীতির নামে এই উত্তেজনাকে আরও বাড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তা হতে দেবে না।
রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল তেলিনিপাড়া এলাকায়। বিকেলের পর তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। সন্ধেবেলা বৃষ্টির মধ্যেই চলে বোমাবাজি। একাধিক বাড়িতে চলে ভাঙচুর। বেশ কয়েকটি দোকানে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের অনেকে আহত হন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ভদ্রেশ্বর পুরসভা পরিচালিত অঙ্কুর হাসপাতালে। রাতভর এলাকায় রুটমার্চ করে পুলিশ। সোমবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর। সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী।

Previous articleপুলিশের গুলিতে নিহত কবাডি খেলোয়াড় অরবিন্দজিৎ সিং
Next article‘ডিসচার্জ পলিসি’: কী বলল স্বাস্থ্যমন্ত্রক?