প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে সরাসরি তোপ দাগলেন মমতা। কেন্দ্রের পদক্ষেপকে পরস্পর বিরোধী বলে সাফ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন কোথায় লকডাউন করা প্রয়োজন কোথায় কোন জোন হবে, তার সিদ্ধান্ত ছাড়া হোক রাজ্যকে।

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তগুলি একের পর এক তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনার ভঙ্গিতে বলেন, কেন্দ্র সব খুলে দিচ্ছে আর তারপর বলছে রাজ্যকে লকডাউন কার্যকর করতে। এটা কেমন ধরণের নীতি? ট্রেন চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সীমান্ত খুলে দিয়ে বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে বলা হচ্ছে সংকটের মোকাবিলা করো? এটা দ্বিচারী আচরণ ছাড়া আর কী!

ক্ষুব্দ মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন রাজ্য কিন্তু কেন্দ্রের নেতৃত্ব মেনে কাজ করে চলেছে। ফলে প্রত্যাশিত ফল যদি না পাওয়া যায় তাহলে তখন যেন কেন্দ্র দায় না এড়ায়। শ্রমিকদের ফেরানোর প্রশ্নে তিনি পরিষ্কারভাবে জানান, প্রত্যেককে রাজ্যে ফেরাতে তৈরি সরকার। মনে রাখবেন ইতিমধ্যে লক্ষ্য মানুষ বাংলায় ফিরেছেন। পরিযায়ীদের শুধু ফেরানো নয়, তাদের স্বাস্থ্য, খাবারের ব্যবস্থা এবং বাসে করে পৌঁছে দেওয়াও রাজ্যকে করতে হচ্ছে। এরপরই মমতা প্রশ্ন তোলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে কেন টিকিটের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে? মমতা স্পষ্ট ভাষায় জানান, কেন্দ্র যদি টাকা না দিতে পারে সেক্ষেত্রে রাজ্যই দেবে।
