তেলেনিপাড়া অশান্তি: রাজ্যপালকে নালিশ করে যা বললেন লকেট-অর্জুন

হুগলির জেলার তেলেনিপাড়া অশান্তির ঘটনা নিয়ে আজ, মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানালেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়া হবে বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে।রাজ্য সরকার যদি এ ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আগামীদিনে আরও অন্যরকম পরিকল্পনা করবে রাজ্য বিজেপি”।

এর পাশাপাশি লকেট অভিযোগ জানান, এলাকার সাংসদ হওয়া সত্বেও তাঁকে তেলিনিপারা ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও দেখা পাওয়া যায়নি। হুমায়ুন কবীর ইচ্ছে করে তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ হুগলির সাংসদের। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে এলাকায় ঢুকতে আইনত বাধা দেওয়া যায় না বলেও এদিন অভিযোগ করেন লকেট।

হুগলি জেলার তেলিনিপাড়া অশান্তি কাণ্ডে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েকে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “তেলেনিপাড়ায় যে দাঙ্গা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ রাজ্য প্রশাসনের মদতে হয়েছে”।

এ ব্যাপারে অর্জুন সরাসরি আঙুল তোলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের দিকে। তাঁর বক্তব্য, এর আগে হুমায়ন কবীর যখন ব্যারাকপুরের দায়িত্বে ছিলেন তখন হাজিনগর-এর দাঙ্গার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এখন তিনি চন্দননগরে গেছেন, সেখানেও একই পরিস্থিতি।

এখানেই শেষ নয়। সুর চড়িয়ে অর্জুন বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই দাঙ্গা থামানোর ব্যাপারে। সাংসদদের নিজেদের এলাকায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনই চলতে দেওয়া যায় না”।

অর্জুন আরও জানান, মালদাতে যাওয়ার ব্যাপারেও তিনি চিঠি লিখেছেন প্রশাসনের কাছে, যাতে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিজেপি এ ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকবে না। যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে জোর করে তাঁরা সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

 

Previous article“হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ”, কোভিড ওয়ার্ডে প্রৌঢ়ার ৬০ বছরের জন্মদিন পালন করলেন নার্সরা!
Next articleলকডাউন: হিন্দমোটরে বসল ১ টাকার হাট