আজকাল: খুলেও খুলছে না জট

আজকাল পত্রিকার জট এখনও কাটেনি।

ইউনিয়ন কয়েকজনকে সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে যাচ্ছে। তাছাড়া লকডাউন উঠলে কলকাতার চার জায়গায় পথসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্যামবাজার, শিয়ালদা, ধর্মতলা ও হাজরা মোড়। এখন যেহেতু অনেকেই নিয়মিত অফিস যাচ্ছেন না, তাই বাইরে থেকেই আলোচনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে।

এদিকে আজকাল পরিচালনার জন্য তৈরি কমিটি সোমবার বৈঠকে বসেছিল। এরপর তাঁদের কেউ কেউ বিজ্ঞাপন বিভাগের সঙ্গে বসে আয় বাড়ানোর কথা বলেন। এক ব্যক্তি নাকি বলেন তিনিও মার্কেটিং এ কাজ করতেন। এখন ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এসব কথায় বেদম চটেছেন বিজ্ঞাপনের কর্মীরা। সূত্রের খবর, এসব জ্ঞানের কথা না বলে ওই ব্যক্তি চারটে বড় বিজ্ঞাপন নিজে এনে আগে দেখিয়ে দিক। বিজ্ঞাপন বিভাগ জানে কী করতে হয়। ফলে বৈঠকের উল্টো প্রভাব পড়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরীর ঘনিষ্ঠমহল বলছে, শিগগিরই সত্যমবাবু নিজে হস্তক্ষেপ করবেন। তখন এই ভুলবোঝাবুঝি বা ইগোর লড়াই থাকবে না। কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করার ফর্মুলা তৈরি করছেন তিনি। লকডাউন চলছে বলে একটু সমস্যা হচ্ছে। আজকাল দপ্তর মসৃণ রেখে ইতিবাচক পথে এগোতে চাইছেন তিনি। কমিটির কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য যে অকারণ জলঘোলা বেড়ে গিয়েছে, সেটি চেয়ারম্যান বুঝেছেন। তবে শৃঙ্খলার ইস্যুতে সমঝোতা করাও সম্ভব হচ্ছে না। অচলাবস্থা না চাইলেও একাংশের কর্মীর বিপুল ক্ষোভ। সত্যম খোলনলচে বদলে অগ্রগতির মানসিকতা তৈরি করছেন। এই সময়ে নতুন কোনো প্ররোচনা তৈরি না হলে কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাতেই পদক্ষেপ নেবেন সত্যম রায়চৌধুরী। কর্মীরাও চান চেয়ারম্যান সরাসরি হস্তক্ষেপ করুন। এবং যাঁরা বিষয়গুলি বোঝেন, তাদের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। এক্ষেত্রে দীর্ঘকাল যারা বড় বড় পদে থেকে সব সুবিধে নিয়ে দিনের পর দিন কাগজের প্রচার ও প্রভাব কমিয়েছেন, সঙ্কট গভীরতর করেই চলেছেন, অবিলম্বে তাদের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিক কর্তৃপক্ষ।

Previous articleবাহিনী দিয়ে ভারতের উপর হামলা চালানো উচিত ইমরানের : রাজা ফারুক হায়দার
Next articleদেশের ৭৪% মানুষ আধপেটায়, কাজ খুইয়েছেন ৬৭%, ভয়ঙ্কর চিত্র এক সমীক্ষায়