দেশের ৭৪% মানুষ আধপেটায়, কাজ খুইয়েছেন ৬৭%, ভয়ঙ্কর চিত্র এক সমীক্ষায়

সরকারি দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে এক গবেষণায়৷

ভারতবাসীর ঠিক কতখানি ক্ষতি করেছে এই করোনাভাইরাস এবং এই ক্ষতির শিকার ঠিক কতজন, ক্ষতির ধরনই বা কেমন, সেইসব তথ্য এতদিন অনুমানের ভিত্তিতেই আলোচিত হয়েছে৷ এবার এক গবেষণায় উঠে এলো বাস্তব তথ্য৷

আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় সামনে এসেছে মর্মান্তিক তথ্য। এই সমীক্ষা-রিপোর্টে বলা হয়েছে :

◾করোনার অভিঘাতে কাজ খুইয়েছেন ৬৭ শতাংশ দেশবাসী।

◾রোজগার কমেছে দেশের মোট ৬৩ শতাংশ মানুষের৷

◾৭৪ শতাংশ ভারতবাসী আজ কোনওক্রমে আধপেটা খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন৷

◾ এক সপ্তাহের রেশনও মজুত নেই দেশের ৬১ শতাংশ মানুষের ঘরে।

◾ যে সব অসংগঠিত শ্রমিক মাসে ১০ হাজার টাকারও কম আয় করেন, তাঁদের ওপরেই করোনাজনিত লকডাউন প্রভাব বেশি।

আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাস্টেনেবল এমপ্লয়মেন্ট বা CSE সমীক্ষাটি চালিয়েছে ১৩ এপ্রিল থেকে ৯ মে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে মঙ্গলবার। মোট ১২টি রাজ্যের ৩৯৭০টি মানুষের উপর গবেষণা চালায় এই সংস্থা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষক দলটির তরফে জানানো হয়েছে, এই সমীক্ষায় নমুনা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল একেবারে প্রান্তিক মানুষদের। এই সমীক্ষক-গবেষক দলের সদস্য রোজা আব্রাহাম বলছেন, “আমরা সমাজের একেবারে পিছনের সারির মানুষকে নিয়ে এই কাজ করেছি। জানতে চেয়েছি তাঁরা কেমন আছেন। দেখা যাচ্ছে অনেকেই বলছেন দু’বেলা খাবার জুটছে না। দু মুঠো ভাতই সম্বল ছিল যাঁদের, তাঁদের খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণও কমে যাচ্ছে।

এই সমীক্ষার একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে অবশ্য। সমীক্ষকদল দেখেছে, তাদের বেছে নেওয়া মানুষের ৮৬ % রেশন পেয়েছে। তবে অর্ধেক মানুষও সরাসরি অর্থ পাননি অ্যাকাউন্টে। এর সবচেয়ে বড় কারণ অসংগঠিত শ্রমিকের এক বড় অংশ শহরাঞ্চলের বাসিন্দা।

Previous articleআজকাল: খুলেও খুলছে না জট
Next articleঅনলাইন ক্লাস থেকে প্রাপ্ত টাকা করোনা মোকাবিলায় দান ঊর্বশী রাউতেলার