তৃতীয় দফায় লকডাউন চলছে। এরইমধ্যে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকরা। সেই পথেই সন্তানের জন্ম দিলেন মধ্যপ্রদেশের তরুণী শকুন্তলা। প্রসবের পর ফের সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে শুরু হলো পথ হাঁটা। ১৫০ কিলোমিটার হেঁটে অবশেষে মেলে সরকারি বাস। সদ্য মা হওয়া শকুন্তলার শক্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ।

মহারাষ্ট্রের নাসিকে শ্রমিকের কাজ করতেন স্বামী–স্ত্রী। বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাতনায়। লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ। তাই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ স্বামীর সঙ্গেই পায়ে হেঁটে পেরোচ্ছিলেন তরুণী শকুন্তলা। পেটে ন’মাসের সন্তান।মহারাষ্ট্রের সেনধাওয়ার কাছে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। হাইওয়ের ধারে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন শকুন্তলা।

প্রসবের পরে ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রাম নেন তিনি। ফের শুরু হয় পথ হাঁটা। ১৫৯ কিলোমিটার হেঁটে একটি চেকপোস্টে পৌঁছায় ওই শ্রমিকের দল। শেষমেষ পুলিশের সহযোগিতায় বাসে করে গ্রামে ফিরেছেন তাঁরা। সাতনার স্বাস্থ্য আধিকারিক একে রায় বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কয়েকশো কিলোমিটার হাঁটার পরে খবর পাই আমরা। সরকারি বাসে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের। মা ও সন্তান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ভালো আছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাদের ফেরাতে বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু আদৌ পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
