“লকডাউন চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাস্তা ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার দিকে রাজ্যগুলিই নজর রাখুক। এক্ষেত্রে আদালতের কিছু করার নেই”৷
রাস্তায় হাঁটতে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার এবং জলের ব্যবস্থা করার দাবিতে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত
এমনই মন্তব্য করেছে৷
শীর্ষ আদালতের বক্তব্য,
লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পথ ধরে হাঁটার বিষয়ে আদালতের কিছু করার নেই৷ প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে পর্যন্ত লকডাউনে ট্রেন- বাস না পেয়ে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরতে চেষ্টা করেছেন ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকরা। রাস্তায় ক্লান্ত হয়ে এবং এত পথ হাঁটার ধকল সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই বিষয় নিয়েই অলক শ্রীবাস্তব নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনে বলেছিলেন, আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক যাতে রাস্তায় হাঁটতে থাকা পরিযায়ীদের চিহ্নিত করে তাঁদের খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় ওই আইনজীবী মহারাষ্ট্রের মালগাড়ির তলায় চাপা পড়ে ১৬ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এ দিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও অনেকে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলেছেন। পরিস্থিতি এমন যে, তাঁদের আটকানো সম্ভব নয়। তাতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
শীর্ষ আদালত বলেছে, “যদি বিপদ জেনেও কেউ রেললাইনের উপর ঘুমিয়ে পড়েন, তখন এধরনের ঘটনা কী ভাবে আটকানো যাবে। এমন মানুষও রয়েছেন, যাঁরা কোনও নিষেধ না শুনে হেঁটেই চলেছেন। আমরা তাঁদের কী ভাবে আটকাতে পারি”?
অবশ্য, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, “কখন কোন শ্রমিক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সে দিকে আদালতের নজর রাখা সম্ভব নয়। রাজ্যগুলিকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত এ ধরনের আবেদনের সিদ্ধান্তও নিতে পারে না”৷ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।