সরকারি চাকরির প্রক্রিয়া বন্ধ হচ্ছে? কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন

আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই অনুযায়ী রবিবার পঞ্চম দফায় ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এদিন সরকারি সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

রবিবার তিনি ৪০ হাজার কোটির অতিরিক্ত প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, করোনা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারি ক্ষেত্র নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন হবে। সরকারি সংস্থাগুলির জন্য একটি বিশেষ স্ট্র্যোটেজিক সেক্টরের তালিকা তৈরি করা হবে৷ একই ক্ষেত্রে একাধিক সরকারি সংস্থার প্রয়োজন নেই।” সরকারি সংস্থাগুলিকে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রের এই ঘোষণার পর সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সাধারণ মানুষ। অনেকের মতে কৌশলে সরকারি চাকরির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চাইছে মোদি সরকার। সরকারি সংস্থা বেসরকারি সংস্থার হাতে উঠে গেলে কর্মচারী নিয়োগ থেকে শুরু করে কর্মসুরক্ষা নির্ভর করবে ওই বেসরকারি সংস্থার উপর৷ স্পষ্টতই, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে বলে একাংশের ধারণা।

Previous articleফিরিয়ে নিচ্ছে না অসম সরকার, বাংলার সীমানায় আটকে পরিযায়ী শ্রমিকরা
Next article‘খারাপতম পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে’,হেলথ অ্যাডভাইসরি কমিটি’-র চেয়ারম্যানের মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন