সংবাদমাধ্যমের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, চলতি অর্থবছরে আয় হারাবে ১৬%, CRISIL রিপোর্ট

সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থাগুলির জন্য খুব ‘খারাপ’ খবর৷

দিনদুয়েক আগে প্রকাশিত এক রিপোর্টে রেটিং সংস্থা ‘ক্রিসিল’ জানিয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থাগুলির
আয় চলতি অর্থবছরে এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ কমতে পারে’। এমন ঘটনা ঘটলে সংবাদমাধ্যমে কর্মী-সংকোচনের আশঙ্কা ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবেই৷

এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে
গত দেড়-দু’ বছর ধরে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি৷ তার উপর করোনা- হানা ও লকডাউনের জেরে অর্থনীতি পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে আরও খারাপ কথা শুনিয়েছে বার্কলেজ, মুডিজের মতো একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা। তাদের অভিমত, “চলতি আর্থিক বছরে ভারতীয় অর্থনীতির কোনও বৃদ্ধি বা উন্নতির ন্যূনতম আভাসও দেখা যাচ্ছে না৷” ওদিকে, গ্লোডম্যান স্যাক্স ও নোমুরা-র মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থা তো আবার অর্থনৈতিক সংকোচনের পূর্বাভাস করেছে। ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসবে বলে জানিয়েছে IMF বা আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের মতো সংস্থাও।

ধুঁকতে থাকা দেশের অর্থনীতির প্রভাব ঠিক কীভাবে সংবাদমাধ্যমের উপর পড়বে, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিসিল’-এর রিপোর্টে৷ বলা হয়েছে, “অর্থনৈতিক বৃদ্ধি না হলে বা ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো না হলে কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাদের বিজ্ঞাপন খরচ অনেক কমিয়ে দেবে৷ রেটিং সংস্থাটির মতে, সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থাগুলির মোট আয়ের ,৫৫ % আসে বিজ্ঞাপন থেকে৷ অবশিষ্ট ৪৫% আয় হয় গ্রাহকদের সাবস্ক্রিপশন বা কাগজ বিক্রি থেকে।
সংবাদমাধ্যমের ব্যবসায়ীদের দু:সংবাদ শুনিয়ে ক্রিসিলের রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, “সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন বাবদ আয় চলতি অর্থবছরে অন্তত ১৮ % কমে যেতে পারে। পাশাপাশি, গ্রাহক- সাবস্ক্রিপশন বা বিক্রি থেকেও আয় ১৪ % কমতে পারে৷ এই দুইয়ের প্রভাবে সংবাদমাধ্যমের আয় চলতি অর্থবছরে ১৬ শতাংশ কমবে, যার আনুমানিক পরিমান দাঁড়াবে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা।

আয় কমে যাওয়ার কারণে সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থাগুলির কাঁধে ঋণ পরিশোধের চাপ আগের থেকে অনেক বাড়বে। টাকা কম থাকায় তা পরিশোধ করা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হবে৷ আর তার ফলশ্রুতিতে একের পর এক বন্ধ হতে পারে সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থাগুলি৷

ওদিকে দেশের ৭৮টি সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থার ঋণযোগ্যতা বা ক্রেডিট রেটিং নির্ধারণ করে এই ‘ক্রিসিল’ সংস্থাই। ক্রিসিল জানিয়েছে, ২ মাস লকডাউনের পর বাজারে চাহিদা কী ভাবে ফেরে এবং অর্থনীতি কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তার উপর নির্ভর করছে সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন বাবদ আয় কতটা বাড়বে। এর সঙ্গেই জড়িত সংস্থাগুলির এবং সেখানকার কর্মীদের ভবিষ্যৎ ৷

Previous articleকাল ভোর পর্যন্ত বন্ধ দমদম বিমানবন্দর
Next articleলকডাউন উঠলেই প্রকাশিত হবে সেট পরীক্ষার ফল