
ঈদের শুভেচ্ছা।

এখনকার পরিস্থিতিগত কারণে নিয়ম মেনে যাঁরা যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না, তাঁদের বলি, নিশ্চয়ই আগামী দিনে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর সময় আসবে।

যাঁরা তীব্র অর্থসঙ্কটে আছেন, কাজের অভাব, আশা করি ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

আর যে ব্যবসায়ীসমাজ, হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের; যাঁরা ঈদ হোক বা পুজো; উৎপাদন হোক বা বিপণন; অর্থনীতির স্রোতকে চালু রাখেন; তাঁরা এই উৎসবের মুহূর্তে গভীর সঙ্কটে; তাঁদের কর্মচারীরাও বিপন্ন; প্রার্থনা করি ঘুরে দাঁড়ানোর দিন আসুক দ্রুত।


মুসলমানদের ঈদে কেনাকাটা না হলে হিন্দু দোকানদারের মাথায় হাত পড়ে। আবার হিন্দুর পুজোয় কেনাকাটা কমলে মুসলমান দোকানদারের পরিবারের ভাঁড়ারে টান পড়ে।


নববর্ষ থেকে অক্ষয় তিথিয়া, একাধিক বিশেষ দিন পালন হল না। পবিত্র রমজান মাস গেলো, ইফতারের জমজমাট আসর বাদ রাখতে হল। এবার এলো ঈদ। পৃথিবীর চেহারা বিষণ্ণ, আতঙ্কিত, সতর্ক, অসহায়। কখনও করোনা, আবার তার মধ্যেই দুর্যোগ। প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক। এবছর যে যার মত করে নিজস্ব গন্ডিতে পালিত হোক বিশেষ দিনের অনুভূতি।

আসুন, সব ধর্মের, সমাজের সব অংশের মানুষ আশায় বুক বেঁধে থাকি, আবার সেই পৃথিবীটা ফিরবে, ফেরাতেই হবে; যেখানে সবাই একসঙ্গে আনন্দ করা যাবে। দিনগুলো যথাযথভাবে পালন করা যাবে।

আবার বলছি, ঈদের শুভেচ্ছা। এবার, দূর থেকেই। অনেক শিমুইয়ের দারুণ পায়েস মিস হচ্ছে। তোলা থাকলো।
আপাতত, যথাসম্ভব ভালো থাকুন।

বাঁচতে হবে। দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে।