৩৭৭% বৃদ্ধি পেয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর খোঁজ, বলছে সমীক্ষা

পাকাপাকি ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থায় হয়তো অনেকেই রাজি নন, কিন্তু করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই করা যাবে এমন কাজের সন্ধান শুরু করেছেন বহু মানুষ। মূলত গণপরিবহণ এড়াতে চাইছেন অধিকাংশ ব্যক্তি।

অনলাইন জব পোর্টাল ‘ইনডিড’-এর রিপোর্ট বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ওই খোঁজ বেড়েছে ৩৭৭ শতাংশের বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৪ মাসে ‘রিমোট’, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চাকরির খোঁজ বেড়ে গিয়েছে। ইনডিড ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে যত চাকরির সন্ধান করা হয়েছে তার মধ্যে বাড়ি বসেই কাজের সন্ধান ৩৭৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। একই ভাবে নিয়োগকর্তাদের তরফ থেকেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়িতে বসেই করা যাবে এমন কাজের পোস্টিং বেড়েছে ১৬৮ শতাংশ৷ ইনডিড ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশী কুমার বলেছেন, “করোনা আমাদের অনেকের কাজের ধরন বদলে দিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে বসে কাজের প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে এবং আগামী দিনে এটাই ‘নিউ নর্ম্যাল’ হতে চলেছে। কর্মীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা এবং যে সমস্ত কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তাঁদের দক্ষতা বাড়ানো বা দক্ষ কর্মী নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করতে হবে সংস্থাগুলিকে। আমাদের নতুন ব্যবস্থায় পারদর্শী হওয়ার সময় এসেছে।”

এর আগেও কর্মী মানসিকতা নিয়ে একাধিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইনডিড। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ৮৩ শতাংশ বাড়িতে বসেই কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। ৫৩ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী অফিস না গিয়ে বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য কম বেতন নিতেও প্রস্তুত৷ বাড়িতে বসে কাজের ক্ষেত্রে কর্মীরা কতটা সন্তুষ্ট সে বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে জিনিয়াস কনসালট্যান্টস। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫১ শতাংশ কর্মী সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। কেবল ২০ শতাংশ কর্মী একদমই সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন। সংস্থার সিএমডি আর পি যাদবের দাবি, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমের চাহিদা সব সময়েই ঊর্ধ্বমুখী থাকে দেশে। বর্তমানে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে তা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী দিনে কাজের ধরন এই ভাবেই বেশি হবে বলেই আমার ধারণা।’

Previous articleলকডাউনের মধ্যে রাজ্যে প্রথম বিমান পরিষেবা চালু অণ্ডাল থেকে
Next articleকরোনায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ভারত