আমফানকে বুড়ো আঙুল দেখাল শতাব্দী প্রাচীন টালা ট্যাঙ্ক

আমফানে বিপর্যস্ত গোটা বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চেনা বাংলার ছবি পাল্টে দিয়েছে। তবে এই দুর্যোগকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাল টালা ট্যাঙ্ক। ১৩০ কিলোমিটার বেগে আসা ঘূর্ণিঝড়কে তোয়াক্কা করল না শতাব্দী প্রাচীন এই ট্যাঙ্ক। জল ধরে ওজন বাড়িয়ে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা এ যাত্রায় উতরে দিল টালা ট্যাঙ্ককে। জানা গিয়েছে, এই কাজের নেপথ্যে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডিজিএম (জল) অমিতাভ পাল।

এই ট্যাঙ্কের ক্রেন নিয়ে আশঙ্কা ছিল ইঞ্জিনিয়ারদের। এদিকে ট্যাঙ্কের একাংশের মেরামতির কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই এই ট্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয় কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। হাইড্রোলিক সিস্টেমে টালা ট্যাঙ্কে অনবরত জল ওঠানামা করে। ট্যাঙ্কে জল জমা থাকে না। ট্যাঙ্কের ৪টি ইউনিট ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জল ভরে জল সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন অমিতাভ পাল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত পর্যন্ত কোনও জল নামতে দেওয়া হবে না। বাড়ানো হবে ট্যাঙ্কের ওজন। চাবি বন্ধ করে জল নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্যাঙ্কের জল ধারণ ক্ষমতা ৯ মিলিয়ন গ্যালন। ৮ মিলিয়ন গ্যালন জল ভরা হয় ট্যাঙ্কে। ওজন হয় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। যার ফলে আঁচড় কাটতে পারল না আমফান। সোমবার পরীক্ষার পর ইঞ্জিনিয়াররা জানান, সব ঠিক আছে। জল পরিষেবাও কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে স্বাভাবিক রাখা গিয়েছে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে।

পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জল ধরে রেখে ওজন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ট্যাঙ্কের। ট্যাঙ্ক মেরামতির কাজে বিদেশ থেকে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ক্রেন আনা হয়েছিল। তবে শুধুমাত্র সেদিনের জন্য ওই ক্রেন মুভবেল করে দেওয়া হয়। হাওয়ার গতি যেদিকে ছিল ক্রেনও সেদিকেই মুখ করে ছিল। তাই বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।”

Previous articleমাধ্যমিকের নম্বর সংগ্রহের কাজ শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
Next articleহুগলিতে সিইএসসি-র এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন, রাস্তা অবরোধে মান্নান