জামাইষষ্ঠী স্পেশাল: কোচবিহারে খোলাবাজারের থেকে দাম কম হোম ডেলিভারিতে!

লকডাউনের মধ্যেই চলে যাচ্ছে একের পর পার্বণ। বৃহস্পতিবার, জামাইষষ্ঠী। এদিকে লকডাউনে জামাইদের রসনা তৃপ্তিতে হোম ডেলিভারির উপরে ভরসা করছেন কোচবিহারের মানুষ। ক্রেতাদের দাবি কোচবিহারের বাজারে আমদানিকৃত মাছ-মাংসের দামের তুলনায় হোম ডেলিভারিতে দাম অনেক কম। চাহিদা মতো উৎকৃষ্ট মানের পণ্য বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে কোচবিহারের সাতমাইল সতীশ ক্লাব পাঠাগার হোম ডেলিভারি কর্মকর্তারা। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পালের নির্দেশক্রমে এই হোম ডেলিভারি শুরু হয়েছিল লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকে। এখন এই হোম ডেলিভারি কোচবিহার পুর এলাকার বাসিন্দাদের অন্যতম ভরসা। সংস্থার কর্ণধার অমল রায় জানান, “আমরা ন্যায্যমূল্যে উন্নত মানের কোচবিহারে উৎপাদিত সবজি ও মাছ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের নিজেদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্বারা উৎপাদিত মাছ, মাশরুম এই তালিকাভুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাম ঘুরে আমরা গোট মিট সংগ্রহ করে ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। খোলা বাজারের থেকে আমরা আমাদের দাম অনেকটাই কম নেওয়ার চেষ্টা করছি”।

কোচবিহারের স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব বিশ্বাস জানান, “লকডাউনের শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সংস্থার মাধ্যমে মাছ-মাংস কেনা হয়েছে। যথেষ্ট উন্নত মানের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। খোলা বাজারের তুলনায় সত্যি দাম অনেক কম”। এখন রাত পোহালে জামাইয়ের পাতে কী কী সাজিয়ে দেবেন সেই তালিকাতেই নজর দিয়েছেন শ্বশুর-শাশুড়িরা।

Previous articleকরোনা-আবহে সদ্যোজাত ও মায়ের যত্ন নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা কেন্দ্রের
Next articleকোটি টাকার প্যাঁচার ছবির ক্রেতা CESC-এর বঙ্গভূষণ মালিক এখন বলির পাঁঠা! তোপ দিলীপের