Friday, November 14, 2025

মারণ নভেল করোনাভাইরাস এখনও পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু যেসব অবলা প্রাণীগুলির প্রভুরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন কী অবস্থা তাদের এখন? ঠিকভাবে বেঁচে আছে তো তারা? এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চিনের উহানে। তিন মাস আগে এক সাত বছরের কুকুরের প্রভু করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় উহানের এক হাসপাতালে। কুকুরটি এখনও সেখানে অপেক্ষারত।

কুকুরটির নাম জায়ো-বায়ো। গত তিন মাস ধরে তার মালিকের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু সে জানে না যে তার মালিক আর কখনোই ফিরবে না। নেট দুনিয়ায় কুকুরটির প্রতীক্ষার ছবি ভাইরাল।

সূত্রের খবর, সাত বছরের জায়ো-বায়ো প্রায় তিন মাস ধরে চিনের উহান শহরের তাইকাং হাসপাতালে অপেক্ষায় রয়েছে তার মালিকের। তার মালিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা যান। কিন্তু সে খবর আজও জানে না জায়ো-বায়ো।

এরপর এমন করুণ দৃশ্য দেখে চোখে জল নেটিজেনদের। সেখানকার এক মহিলা তাকে দেখভাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুকুরটিকে হাসপাতাল থেকে বারবার বের করে দেওয়া হলেও সে যায়নি অন্যত্র। মালিকের প্রতীক্ষায় বসে থেকেছে দিনের পর দিন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহু রোগীর কাছ থেকে ঐ কুকুরটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর জায়ো-বায়োকে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘উহান স্মল অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশন’-এর হাতে। তবে আবারো সেই অপেক্ষা, আবারো যদি কোনও সহৃদয় পশুপ্রেমী এসে নিয়ে যাবেন জায়ো-বায়োকে।

Related articles

শিশু দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মমতা – অভিষেকের, নেহরুর জন্মদিন উপলক্ষেও শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর 

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে (Childrens Day) শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

তেজস্বীর নয়া ইনিংস নাকি নীতীশের কামব্যাক, বিহারের রায় আজ

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা (Bihar Assembly Election Result) কার দখলে থাকবে তা জানতে সকাল ৮টা থেকে শুরু...

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...
Exit mobile version