Sunday, November 9, 2025

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে লকেটের কনভয় আটকালো পুলিশ, রাস্তায় বসে পড়লেন সাংসদ

Date:

Share post:

দিলীপ ঘোষের পর লকেট চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার সামনে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। আজ, শুক্রবার ক্যানিং-এর তালদিতে ত্রিপল-সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী দিতে যাচ্ছিলেন লকেট। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড করে বিজেপি নেত্রীর পথ আটকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রায় ঘন্টাখানেক লকেটের পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশের যুক্তি, লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্যানিং গেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। লকডাউনের মধ্যে কোনওভাবেই সেই ঝুঁকি পুলিশ নিতে রাজি নয়।

এরপরই রাস্তার উপর বসে পড়েন লকেট। তাঁর সঙ্গে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশকিছু বিজেপি সমর্থক। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) বিজেপি জেলা সভাপতি হরেকৃষ্ণ দত্ত। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভের পর পুলিশের অনুরোধে এলাকা ছাড়েন লকেট।

পুলিশের পক্ষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলা হয়, ত্রাণের তালিকা দিলে পুলিশ সেইসব মানুষের বাড়ি তা পৌঁছে দেবে। কিন্তু রাজি হননি বিজেপি নেত্রী। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “এ রাজ্যের পুলিশকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি নিজে এই জেলার বাসিন্দা। একজন সাংসদ। তাঁর পথ আটকে বেআইনি কাজ করছে পুলিশ নিজেই। অসহায় মানুষের পাশে নেই রাজ্য সরকার। যখন বিজেপি ত্রাণ নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে, তখন বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই যা রাজ্যে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আমফানের পর বলেছিলেন রাজনীতি না করতে। এখন তিনি নিজেই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করছেন।”

পুলিশের অনুরোধে লকেট শেষ পর্যন্ত ফিরে গেলেও, তিনি স্পষ্ট জানান, এদিনের ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। চিঠিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হেনস্থা ও ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে জানানো হবে। সঙ্গে ছবিও পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ এলাকায় আটকে ছিল পুলিশ। তাঁকেও আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর
সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউন না মানার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বেরচ্ছেন, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা বেরোচ্ছেন। আর তাঁরা ত্রাণ দিতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর আর তাঁরা লকডাউন মানবেন না, রাস্তায় নামবেন, রাস্তায় দেখা হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন দিলীপ ঘোষ।

কী বললেন লকেট? দেখুন ভিডিও…

spot_img

Related articles

পশ্চিমবঙ্গই সেরা পারফর্মার: এসআইআর-এ রাজ্যের সাফল্যে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এসআইআর সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ এবং এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ।...

রবিতেও ঠাকুরনগরে এলো অ্যাম্বুল্যান্স: ২১ অনশনকারীর মধ্যে অসুস্থ ৯

এসআইআর-এর প্রতিবাদে আমরণ অনশনে মতুয়া পরিবারের সদস্যরা। মতুয়া দলপতিদের অনশনের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা...

কংগ্রেসকেও সমর্থন করতে পারত RSS: অরাজনৈতিক সাজার চেষ্টা মোহন ভাগবতের!

একশো বছর উদযাপন ঘিরে রাতারাতি প্রচারের আলোয় অনেক বেশি করে আসছে আরএসএস। সেই সঙ্গে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারাকে...

সহপাঠীকে গুলি একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের, ফ্ল্যাটে উদ্ধার অস্ত্রের সম্ভার

শনিবার রাতে গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৮-এ এক অভিজাত আবাসনে ডিনারে ডেকে এনে সহপাঠীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণির...