Thursday, December 25, 2025

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে লকেটের কনভয় আটকালো পুলিশ, রাস্তায় বসে পড়লেন সাংসদ

Date:

Share post:

দিলীপ ঘোষের পর লকেট চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার সামনে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। আজ, শুক্রবার ক্যানিং-এর তালদিতে ত্রিপল-সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী দিতে যাচ্ছিলেন লকেট। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড করে বিজেপি নেত্রীর পথ আটকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রায় ঘন্টাখানেক লকেটের পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশের যুক্তি, লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্যানিং গেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। লকডাউনের মধ্যে কোনওভাবেই সেই ঝুঁকি পুলিশ নিতে রাজি নয়।

এরপরই রাস্তার উপর বসে পড়েন লকেট। তাঁর সঙ্গে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশকিছু বিজেপি সমর্থক। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) বিজেপি জেলা সভাপতি হরেকৃষ্ণ দত্ত। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভের পর পুলিশের অনুরোধে এলাকা ছাড়েন লকেট।

পুলিশের পক্ষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলা হয়, ত্রাণের তালিকা দিলে পুলিশ সেইসব মানুষের বাড়ি তা পৌঁছে দেবে। কিন্তু রাজি হননি বিজেপি নেত্রী। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “এ রাজ্যের পুলিশকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি নিজে এই জেলার বাসিন্দা। একজন সাংসদ। তাঁর পথ আটকে বেআইনি কাজ করছে পুলিশ নিজেই। অসহায় মানুষের পাশে নেই রাজ্য সরকার। যখন বিজেপি ত্রাণ নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে, তখন বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই যা রাজ্যে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আমফানের পর বলেছিলেন রাজনীতি না করতে। এখন তিনি নিজেই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করছেন।”

পুলিশের অনুরোধে লকেট শেষ পর্যন্ত ফিরে গেলেও, তিনি স্পষ্ট জানান, এদিনের ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। চিঠিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হেনস্থা ও ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে জানানো হবে। সঙ্গে ছবিও পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ এলাকায় আটকে ছিল পুলিশ। তাঁকেও আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর
সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউন না মানার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বেরচ্ছেন, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা বেরোচ্ছেন। আর তাঁরা ত্রাণ দিতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর আর তাঁরা লকডাউন মানবেন না, রাস্তায় নামবেন, রাস্তায় দেখা হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন দিলীপ ঘোষ।

কী বললেন লকেট? দেখুন ভিডিও…

spot_img

Related articles

ক্রিসমাসে ঝলমলে পার্কস্ট্রিট, সান্টা টুপি মাথায় বড়দিনের সকালে পিকনিক মুডে বাঙালি

দেখতে দেখতে বছর প্রায় শেষ হতে চলল। ক্রিসমাসের মধ্য দিয়েই যেন বর্ষবরণের আনন্দ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়ে যায়। বড়দিনের...

সময়ের দেরিতেই বাঁধা প্রেমের গল্প-২৫ দিনের মাইলস্টোন ছুঁয়ে হলে ‘দেরি হয়ে গেছে’

সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নস্টালজিয়া, আবেগ আর রহস্যের মিশেলে দর্শকদের মন জয় করে প্রেক্ষাগৃহে টানা ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে সফলভাবে...

নতুন তিন বিমান সংস্থা: ইন্ডিগোর একচেটিয়া দখল ভাঙছে দেশের আকাশে 

দেশের আকাশপথে একচেটিয়া দখল ভাঙতে যাচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও যাত্রী অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি সংস্থাকে...

ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যতটা শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের...