Saturday, December 6, 2025

মোদিজিকে অরুণাভ ঘোষের শ্রদ্ধার্ঘ্য

Date:

Share post:

আমদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদির অতীত ঘাটলে দেখা যাবে সেই দিনলিপি রামায়ণের গল্পকথাকেও হার মানাবে।

মোদিজির জন্ম তারিখ দুটি…
প্রথমটা তথাকথিত graduation certificate অনুযায়ী ২৯ অগাস্ট, ১৯৪৯, দ্বিতীয়টি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫০। যেটা নির্বাচনী হলফনামায় পেশ করেছেন।
মোদিজি দাবি করেছেন, যে তিনি ভাদনগর রেল স্টেশনে ভাঁড়ে চা বিক্রি করতেন যখন ওনার বয়স ৬ বছর ছিল। অথচ ভারতীয় রেলের রেকর্ড অনুযায়ী ওখানে স্টেশন উদ্বোধন হয় ১৯৭৩ সালে যখন মোদীজীর বয়স ২৩ বা ২৪।

মোদিজি দাবি করেছেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল দেশে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছিলেন।
প্রশ্ন হলো একটাও ক্লাস না করে উনি ১৯৭৮ সালে পরীক্ষায় বসলেন কী করে! এবং কোন কলেজে উনি পড়েছেন তা আজও অবধি জানা যায়নি।
১৯৮৩ সালে মোদিজি post graduation করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। Entire Political Science বিষয়ে যা গুজরাত সহ এই পৃথিবীর কোথাও পড়ানো হয় না। এবং আরও আশ্চর্যের বিষয় মোদিজি graduation এর মার্কশিট পেশ না করেই post graduation-এ ভর্তি হন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে মোদিজি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একটি TV interview তে স্বীকার করেছিলেন যে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিতে পারেননি। অর্থাৎ তাঁর পড়াশোনার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে,

এক, যে উনি কোনওদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না।

দুই, উনি একাই ছাত্র ছিলেন, একাই ক্লাস করেছেন, একাই পরীক্ষা দিয়ে একা পাশ করে একাই সার্টিফিকেট নিয়েছেন।

এবং তিন, এমন কোনও মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি যে বা যারা ওনার সহপাঠী বা শিক্ষক ছিলেন।

যখন প্রশ্ন উঠলো মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে,
তখন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি সাংবাদিকদের সামনে তড়িঘড়ি দুটি মার্কশিট পেশ করেন। তাতে দেখা যায়, ১৯৮৪ সালে মাইক্রোসফট কম্পিউটার প্রিনটেড মার্কশিট। অথচ ভারতবর্ষে ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফট কম্পিউটার আত্মপ্রকাশ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে দিনটি মার্কশিট প্রকাশের তারিখ, সে দিনটি রবিবার। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে মোদিজির দুটি ডিগ্রিই জাল।
দেখা যাচ্ছে মোদিজিই এই পৃথিবীর একমাত্র নন্ ম্যাট্রিক গ্রাজুয়েট ।

এতো গেলো মোদিজির অতীত।
মোদিজি এখন বিদ্যায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সমকক্ষ হতে চাইছেন। জেলে বসে নেহরুজি তাঁর কন্যা ইন্দিরাজিকে চিঠি লিখতেন, যা পরে বই আকারে প্রকাশ পায়। ঠিক তেমনি মোদিজি এখন দাবি করছেন যে তাঁর অজ্ঞাতবাসের সময় তিনি নিয়মিত ডায়রি লিখতেন, চিঠি আকারে তাঁর মাকে উদ্দেশ্য করে। আবার এও বলেছেন বেশিরভাগই তিনি ছিড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে ক’টি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সে ক’টি গুজরাত থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বই আকারে প্রকাশনার জন্য দেবেন।

প্রশ্ন উঠছে

এক, ওনার মা কি স্বাক্ষর ছিলেন?

দুই, মার প্রতি যদি এতই ভালোবাসা থাকে তাহলে মার সাথে দেখা করতে আসতেন না কেন ?

মোদিজি বিশ্ব জুড়ে ইতিহাস হয়ে থাকবেন শুধু এই কারণে… বিনা কারনে বউকে ছেড়ে চলে যাওয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ হলে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়।

spot_img

Related articles

কলকাতা-লন্ডন বিমান ভাড়া কলকাতা-মুম্বইয়ের থেকে কম! হয়রানিতেও জুটল না বিশেষ ট্রেন

লক্ষ লক্ষ দেশবাসী গত ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিপর্যস্ত। কারো বিয়ে, কারো পরীক্ষা আটকে...

বাংলাই দেখায় পথ: BLO মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তে বাধ্য হল কমিশন

বাংলায় মৃত্যু চার বিএলও-র। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গোটা দেশে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বিএলও...

চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকা, আদালতের নির্দেশে প্রকাশ এসএসসি-র

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ফের এক তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র। ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ‘অযোগ্য’ চিহ্নিতদের...

কাজ করার সময়ই অসুস্থ BLO: হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আরও বাড়ল

এসআইআর-এর সময় সীমা বাড়ানো হোক। এই দাবিতে রাজ্যের সিইও দফতরের সামনে লাগাতার আন্দোলনে বিএলও অধিকার রক্ষা মঞ্চ। যেভাবে...