Tuesday, November 11, 2025

আমদের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদির অতীত ঘাটলে দেখা যাবে সেই দিনলিপি রামায়ণের গল্পকথাকেও হার মানাবে।

মোদিজির জন্ম তারিখ দুটি…
প্রথমটা তথাকথিত graduation certificate অনুযায়ী ২৯ অগাস্ট, ১৯৪৯, দ্বিতীয়টি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫০। যেটা নির্বাচনী হলফনামায় পেশ করেছেন।
মোদিজি দাবি করেছেন, যে তিনি ভাদনগর রেল স্টেশনে ভাঁড়ে চা বিক্রি করতেন যখন ওনার বয়স ৬ বছর ছিল। অথচ ভারতীয় রেলের রেকর্ড অনুযায়ী ওখানে স্টেশন উদ্বোধন হয় ১৯৭৩ সালে যখন মোদীজীর বয়স ২৩ বা ২৪।

মোদিজি দাবি করেছেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল দেশে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছিলেন।
প্রশ্ন হলো একটাও ক্লাস না করে উনি ১৯৭৮ সালে পরীক্ষায় বসলেন কী করে! এবং কোন কলেজে উনি পড়েছেন তা আজও অবধি জানা যায়নি।
১৯৮৩ সালে মোদিজি post graduation করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। Entire Political Science বিষয়ে যা গুজরাত সহ এই পৃথিবীর কোথাও পড়ানো হয় না। এবং আরও আশ্চর্যের বিষয় মোদিজি graduation এর মার্কশিট পেশ না করেই post graduation-এ ভর্তি হন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে মোদিজি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একটি TV interview তে স্বীকার করেছিলেন যে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিতে পারেননি। অর্থাৎ তাঁর পড়াশোনার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে,

এক, যে উনি কোনওদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না।

দুই, উনি একাই ছাত্র ছিলেন, একাই ক্লাস করেছেন, একাই পরীক্ষা দিয়ে একা পাশ করে একাই সার্টিফিকেট নিয়েছেন।

এবং তিন, এমন কোনও মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি যে বা যারা ওনার সহপাঠী বা শিক্ষক ছিলেন।

যখন প্রশ্ন উঠলো মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে,
তখন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি সাংবাদিকদের সামনে তড়িঘড়ি দুটি মার্কশিট পেশ করেন। তাতে দেখা যায়, ১৯৮৪ সালে মাইক্রোসফট কম্পিউটার প্রিনটেড মার্কশিট। অথচ ভারতবর্ষে ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফট কম্পিউটার আত্মপ্রকাশ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে দিনটি মার্কশিট প্রকাশের তারিখ, সে দিনটি রবিবার। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে মোদিজির দুটি ডিগ্রিই জাল।
দেখা যাচ্ছে মোদিজিই এই পৃথিবীর একমাত্র নন্ ম্যাট্রিক গ্রাজুয়েট ।

এতো গেলো মোদিজির অতীত।
মোদিজি এখন বিদ্যায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সমকক্ষ হতে চাইছেন। জেলে বসে নেহরুজি তাঁর কন্যা ইন্দিরাজিকে চিঠি লিখতেন, যা পরে বই আকারে প্রকাশ পায়। ঠিক তেমনি মোদিজি এখন দাবি করছেন যে তাঁর অজ্ঞাতবাসের সময় তিনি নিয়মিত ডায়রি লিখতেন, চিঠি আকারে তাঁর মাকে উদ্দেশ্য করে। আবার এও বলেছেন বেশিরভাগই তিনি ছিড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে ক’টি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সে ক’টি গুজরাত থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বই আকারে প্রকাশনার জন্য দেবেন।

প্রশ্ন উঠছে

এক, ওনার মা কি স্বাক্ষর ছিলেন?

দুই, মার প্রতি যদি এতই ভালোবাসা থাকে তাহলে মার সাথে দেখা করতে আসতেন না কেন ?

মোদিজি বিশ্ব জুড়ে ইতিহাস হয়ে থাকবেন শুধু এই কারণে… বিনা কারনে বউকে ছেড়ে চলে যাওয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ হলে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়।

Related articles

গতি মানেই প্রগতি: স্বাস্থ্যসচিবকে দ্রুত নিয়োগের কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

আদালতের জন্য আটকে ছিল নিয়োগ। এবার দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য  ভবনে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্রকল্পের উদ্বোধনে...

আস্ত একটা বিশ্ববিদ্যালয়ই জঙ্গির আঁতুড়ঘর! পুরুষের পরে মহিলা চিকিৎসকের আড়ালেও জঙ্গীনেত্রী

একটা বিস্ফোরণ। তার জেলে রুটিন তল্লাশি। ঠিক যেভাবে অন্যান্য একেকটা নাশকতার পরে চলতে থাকে। তবে জঙ্গি আঁতুড়ঘর যে...

এবার হার্ট-লিভার-কিডনি ব্যাঙ্কের পরিকল্পনা: মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট উদ্বোধনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে আরও অর্গ্যান ব্যাঙ্ক তৈরি হোক। চান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্রকল্পের...

ইডেনে ঘূর্ণি পিচের আভাস, স্পিনারদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতিতে জোর গিলদের

শীতের শুরুতেই কলকাতায় ক্রিকেট কার্নিভাল। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা(India VS South Afrcia) প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় ইডেনের  পিচ। শহরে আসার...
Exit mobile version