আবার ছাঁটাই আবহে কাঁপছে আনন্দবাজার

চলতি করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই দেশে মিডিয়াতেও সঙ্কট চলছে। একের পর এক মিডিয়াহাউস আর্থিকসঙ্কটের কারণ দেখিয়ে এখন ছাঁটাই, বেতনহ্রাস সেরে ফেলছে। তার মধ্যে বড় সংস্থাগুলিও আছে। এরাজ্যেও প্রভাব স্পষ্ট। একদিকে ছাঁটাই; অন্যদিকে বেতন কমানো বা কিস্তিতে দেওয়া।

আনন্দবাজার গোষ্ঠী বা টাইমস গোষ্ঠীও যখন কর্মী কমাতে নামে, তখন আতঙ্ক ছড়ায় আরও বেশি।
টেলিগ্রাফ তাদের গুয়াহাটি ও রাঁচি অফিস বন্ধ করেছে। আনন্দবাজারে গত এক দেড় বছর ধরেই ছাঁটাই চলছে। সংখ্যাটা বেশ বড়। একবার তো কর্মীরা ধরণায় বসেছিলেন। এর মধ্যে আবার সার্কুলেশন, প্রোডাকশন বিভাগে ছাঁটাই হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্পাদকীয় বিভাগেও কয়েকজন কমানো হতে পারে। এ নিয়ে দপ্তরে জল্পনা ও আতঙ্কের পরিবেশ।
এই সময় কাগজ থেকেও ছাঁটাইয়ের খবর এসেছে।
একটি অভিযোগ ছড়াচ্ছে, ইদানিং কিছু মালিকপক্ষ ফোনেই কর্মীদের নিজে থেকে ইস্তফা দিতে বলছেন। তাদের জন্য যে প্যাকেজ রাখা হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। দিল্লিতেও ঢালাও ছাঁটাইয়ের খবর আসছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অর্থসঙ্কটের কারণেই বিপর্যয়। এছাড়া উপায় নেই। এদিকে মিডিয়াকর্মীরা বিপদে। তাদের জোরালো কোনো সংগঠন নেই। মজার কথা যে সব কাগজ প্রকাশ্যে জ্ঞানের কথা শোনাচ্ছে, সেই প্রদীপের নিচেই সবচেয়ে বেশি অন্ধকার গাঢ়তর হচ্ছে। আনন্দবাজারের একাধিক বিভাগে আতঙ্কের পরিবেশ। আসলে অন্য জায়গায় ছাঁটাই হলে কাগজ লেখে। টিভি দেখায়। কিন্তু নিজেদের ক্ষেত্রে এই খবর দিনের আলো দেখে না। আজীবন মিডিয়াতেই কাজ করে আসা কর্মীরা ভয়ানক বিপদে পড়ছেন।

 

Previous articleএবার নিজের ভালো নিজে বুঝুন; জানুন কী করবেন
Next articleরবিবারের সকালেই কালবৈশাখী