পাকা বাড়ির লোক ক্ষতিপূরণের টাকা তুলছে: দিলীপ

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন দিলীপ ঘোষ। এবার সুপার সাইক্লোন আমফান বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বা সরকারি সাহায্য নিয়ে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

আজ, এক সাংবাদিক বৈঠকে মারাত্মক অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। কী বললেন তিনি–

১) রাজ্য সরকার আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর হিসাব দিয়েছিল রাজ্যজুড়ে ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে মোবাইল পরিষেবা ছিল না। বিদ্যুৎ পরিষেবা অচল হয়ে পড়েছিল, সেখানে কীভাবে এই পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ক্ষতিগ্রস্ত যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের পুরো তালিকা বিডিও-এসডিও-প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী প্রশাসন ক্ষতির টাকা তাঁদের দেয়নি। অথচ, যাঁদের পাকা বাড়ি ছিল তারাই আবার ক্ষতির টাকা পেয়েছেন। এটা তো পুরো সেটিং। তৃণমূলের লোকেরা প্রশাসনের সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি সেটিং করেছে। আর এই জন্যই আমি আগে থেকে বলেছিলাম যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক-এর একাউন্টে পাঠাতে। ঘূর্ণিঝড়ের পর আমাদের দলের লোকেরা ব্লক স্তরে গিয়ে এবং মন্ডলে মন্ডলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাব নিয়েছে। কিন্তু সেই হিসাব অনুযায়ী প্রশাসন থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আর এর ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত যারা হয়েছে, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হল তারা টাকা পেল না। অথচ, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তারা টাকা পেল। বিডিও যে ২৭০টি বাড়িতে ক্ষতির টাকা দিয়েছেন, তাদেরকে দেওয়ার কারণ এটা কাটমানি হবে ।

২) রাজ্যপাল কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে সেই বিষয়ে রং ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পার্থবাবু কোনও নতুন কথা বলছেন না। এসব এখন এই সরকারের একটা রোগে পরিণত হয়েছে।

৩) রাজ্যের সবকিছুতেই পরিকল্পনার অভাব থাকে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নার্সরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। পর্যাপ্ত পিপিই কিট নেই।
কোয়ারেনটাইন সেন্টার করে ঠিকমত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, ফলে যে সব রোগীরা আছন, তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন।

Previous articleরাজ্য-রাজ্যপাল আরও সংঘাতের ইঙ্গিত, সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন ধনকড়
Next articleলকডাউনে প্রতিযোগিতায় টিকতে এয়ারটেল, জিও-র পথেই হাঁটল ভোডাফোন