একের পর এক করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের ‘ভরসার পাত্র’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে কোচবিহার থেকে বদলি করার সিদ্ধান্ত রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বুধবার রাতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বদলির নির্দেশ জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। প্রায় সারারাত জেলাশাসকের দফতরের সামনে চলে বিক্ষোভ। বদলি রদ করার দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর চারবছরের কর্মজীবনে কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন উত্তাল তখন কোচবিহার জেলাতে ১৫ দিন আগে পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তিনি, এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলার অন্যান্য আধিকারিকরাও। তারপরেও কী কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন সুমিত।

তবে বদলি প্রসঙ্গে সিএমওএইচ জানান, “বদলি সকলকেই হতে হয়, আমাকেও হতে হচ্ছে। কোনও এক সময় আমি অন্য জায়গা থেকে বদলি হয়ে এখানে এসেছিলাম। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদেরকে অবশ্যই বলেছি আন্দোলন করে বিশেষ কোন লাভ নেই। যদি তাঁদের কোনও দাবি থাকে তাঁরা যেন সরাসরি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান”।