প্রথম ছবিতেই চমকে দিলেন পরিচালক

সব পরিচালককেই তার জীবনের প্রথম ছবিটা বানিয়ে ফেলতেই হয়, তবেই তিনি, তার জীবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং পরবর্তী ছবিগুলো বানানোর সুযোগ পান।

ঠিক এইভাবেই আমরা পরিচালনার জগতে আরেকজন পরিচালককে পেলাম, যিনি তার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যর ছবি “দুর্গা দুর্গতি”তেই পাশে পেয়েছেন বিনোদন এবং সিনেমাজগতের স্বনামধন্য প্রতিভা আর কলাকুশলীদের।

ছবিতে একটি মনোময় রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার আছে, যেটি গেয়েছেন প্রথিতযশা শিল্পী শ্রাবণী সেন। ছবিটির আবহ এবং সঙ্গীত পরিকল্পনায় র‍য়েছেন স্বনামধন্য সুরকার জয় সরকার। ছবিটি সম্পাদনা করেছেন বাংলা ছবির জগতের দিকপাল জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সম্পাদক অর্ঘ্যকমল মিত্র। ছবিটির শব্দ পরিকল্পনায় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিকল্পক অনুপ মুখোপাধ্যায়।
এই ছবির গল্প পরিচালকের নিজের, চিত্রনাট্য করেছেন রাজীব দাস। সুন্দর গল্পবলার মাধ্যমে আর মনোহরা দৃশ্যে গল্পটিকে সাজিয়ে ফেলেছেন রূপমের বন্ধু সিনেমাটোগ্রাফার উজ্জ্বল মল্লিক আর পরিচালক রূপম পাল স্বয়ং।

এবারে আসি বিনোদন জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তালিকায়। আপনি কর গুনে হিসেব করে উঠতে পারবেন না এতো পছন্দের মানুষ আছেন এই ছবিতে। অভিনয়ে আছেন দেবলীনা ঘোষ, দেবজয় মল্লিক, পিঙ্কি ব্যানার্জি, স্বাগতা বসু, ভাস্কর ব্যানার্জি, সুদীপ মুখার্জি, কৌশিক ব্যানার্জি, সুব্রত গুহ রায়, অনিমেষ ভাদুড়ী, অর্ঘ্য মিত্র, সীমা সরকার, সমীরণ মুখোপাধ্যায়, মনোতোষ তরফদার, অজয় ভট্টাচার্য্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, অরিজিত কুন্ডু, মৌমিতা পাঁজা, লাড্ডু এবং স্বনামধন্য প্রতিমা শিল্পী চায়না পাল।

আপনারা ভাবছেন, যেই পরিচালকের প্রথম ছবিতেই রীতিমতো চাঁদের হাট বসে, তার ছবি দেখতে হল অবধি যেতেই হবে। সেক্ষেত্রে আপনাদের জানিয়ে রাখি শুধুমাত্র তারকাখচিত বলে নয়, ছবিটি মন জয় করবে তার গল্পে।

“দুর্গা দুর্গতি” ছবিতে পরিচালক দেখিয়েছেন, শুধুমাত্র কিছু পুরস্কারের লোভে আর দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে, ঠিক কীভাবে আমাদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব দুর্গা পুজো, বর্তমানে আমার আপনার জীবনের দুর্গতি হয়ে উঠছে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘অপরাজিতা’র জীবন পুজোর ঢাকের তালে তালে কীভাবে বিবর্ণ হয়ে ওঠে এই ছবি তারই গল্প বলবে। পুজোর সাবেকিকরণ, অঞ্জলি দেওয়া ও হৃদ্যতা লক্ষ্য হয়ে উঠুক, সস্তার বাণিজ্যিকীকরণ নয়।

ছবিটি করতে গিয়েও অনেক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে পরিচালক রূপম তার স্বপ্ন বুনে গেছেন।

জীবনের প্রথম ছবিতে স্ব স্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এই দিকপাল ব্যক্তিত্বদের সাহচর্যেই, কে বলতে পারে আমরা হয়তো ভবিষ্যতের একজন প্রতিষ্ঠিত এবং সার্থক পরিচালকেই খুঁজে পেলাম, যে শুধু বিনোদনের উদ্দেশ্যে নয়, জীবনের উদ্দেশ্যে ছবি বানাবেন।

Previous articleবেতন বারণ ! বৈশালীর নির্দেশে বিপাকে স্কুলগুলি
Next articleআনন্দবাজারে বড় কোপ, ফের বিপুল ছাঁটাই